দেশ বিভাগে ফিরে যান

শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হল বিহারের প্রথম দফার ভোট

October 29, 2020 | 2 min read

মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হল বিহারের প্রথম দফার ভোটপর্ব। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৩.৪৬ শতাংশ। গত ২০১৫ সালে এই আসনগুলিতে গড়ে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এদিন যে ৭১ আসনে ভোট হল, তার মধ্যে আরজেডির দখলে রয়েছে ২৭টি আসন। জেডিইউ ও বিজেপির রয়েছে যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ বিধায়ক। কংগ্রেসের দখলে ৯টি আসন। অন্যান্য দলের চার বিধায়ক। বুধবার ১৬টি জেলার ৭১টি আসনে ভোট নেওয়া শুরু হয়। করোনা আবহে যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট নেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথমে ঠিক ছিল একটি বুথে সর্বাধিক ১ হাজার ৬০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু সেই সংখ্যা কমিয়ে হাজার করা হয়। সমস্ত বুথে ইভিএম স্যানিটাইজের পাশাপাশি মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক। পোলিং অফিসাররাও উপযুক্ত পোশাক পরেছিলেন। বুথে স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৭টা থেকে। ভোট শেষের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সন্ধে ৬টা করা হয়েছে। একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ছে না।

এদিন সকালেই ঔরঙ্গাবাদের ঢিবরা এলাকায় দু’টি আইইডি উদ্ধার করে সিআরপিএফ। এগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। বুধবার গয়ায় নিজের কেন্দ্রে সাইকেল চালিয়ে ভোট দিতে আসেন মন্ত্রী প্রেম কুমার। কিন্তু যে মাস্ক পরে ভোট দিতে আসেন, তাতে দলের প্রতীক চিহ্ন থাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এদিন কয়েকটি বুথে ভোট বয়কট হয়। গয়া জেলার শাহরি বিধানসভার একটি বুথে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। তাঁদের দাবি, বিজেপি তাদের ভোট দিতে ভয় দেখাচ্ছে। এদিন গয়ায় নিজের কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি।

ভোট শুরুর মুখে রাহুলের ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ট্যুইটে প্রথম দফার ভোটের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল লেখেন, এবার ন্যায়, রোজগার ও কিষাণ-মজদুরদের জন্য আপনার ভোট শুধুমাত্র মহাজোটেই। তারপর তিনি লেখেন, ‘আব বদলেগা বিহার’। এইসব শব্দ নিয়েই আপত্তি তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বিধি চালু থাকাকালীন মহাজোটকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করেছেন রাহুল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bihar Assembly Election

আরো দেখুন