দেশ বিভাগে ফিরে যান

জয়েন্টে ঘুষের রমরমা, ভুয়ো পরীক্ষার্থী পেল ৯৯.৮ শতাংশ

October 29, 2020 | < 1 min read

‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর দৃশ্যপট মনে আছে? বাবাকে অপমান করার প্রতিশোধ নিতে ডাঃ আস্থানার মেডিক্যাল কলেজেই ভর্তি হওয়ার জেদ চেপে গিয়েছিল মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তের। কিন্তু ‘গুন্ডাগিরি’ করে বেড়ানো মুন্নাভাই কী করে পাশ করবে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায়! উপায়? ডাঃ রুস্তম। ওই কলেজেরই প্রফেসর-চিকিৎসক এবং আস্থানার ডানহাত। অতএব তাঁর বাবাকে ক্যারম বোর্ডে ‘অপহরণ’ করে রুস্তমকেই পরীক্ষার্থী বানিয়ে বসানো হল পরীক্ষায়। রেজাল্ট? ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম মুন্নাভাই।

গুয়াহাটির ঘটনাও খানিক সেরকমই। ছেলে যাতে জয়েন্ট মেনস পরীক্ষায় পাশ করে যায়, সেজন্য গুয়াহাটির একটি কোচিং সেন্টারকে ১৫-২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন চিকিৎসক দম্পতি। তারাই ঠিক করে দিয়েছিল, কে যাবে আসল পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিয়ে তাকে পাশ করিয়ে দিতে। পরীক্ষা পর্ব নির্বিঘ্নে মিটে যায়। ফল বেরনোর পর দেখা যায়, ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে।

বিষয়টি জানাজানি হতেই আসল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গুয়াহাটির আজারা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। গুয়াহাটির অ্যাডিশনাল ডিসিপি সুপ্রতীপলাল বড়ুয়া বলেন, গত ২৩ অক্টোবর একটি অভিযোগ দায়ের হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একটি অডিও ক্লিপিংস পাওয়া গিয়েছে। তাতে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী টেলিফোনে নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন। অডিও ক্লিপিংসটি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিস। বুধবার রাতে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোটা দেশে এই পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে ছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। অসম পুলিসের তরফে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#joint niit exams, #Fake candidate

আরো দেখুন