বেশি জল খেলে প্রাণ সংশয়? বলছে সমীক্ষা
ছোট থেকেই সকলে শুনে আসছি— ‘বেশি করে জল খাও’। তাতে নাকি শারীরের অনেক সমস্যার সমাধান হয় অনায়াসেই।
কিন্তু, বর্তমান চিকিৎসাবিদ্যা জানাচ্ছে অন্য কথা। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী চার্লস বোর্ক, তাঁর গবেষণায় জানিয়েছেন যে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল পান করলে, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। হতে পারে ব্রেন সোয়েলিং-ও।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, বেশি জল খেলে হাইপোন্যাট্রেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন অনেকেই। এর ফলে ব্রেন ফুলে যায়। যাতে হতে পারে সিজার, এমনকী বিকল হতে পারে হৃদযন্ত্রও। এমন কথাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানী চার্লস বোর্ক।
বিজ্ঞানী বোর্ক জানিয়েছেন, শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ব্রেনের ‘হাইড্রেশন সেন্সিং মেকানিজম’ যেমন খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে, জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তেমনটা হয় না। ফলে, ওভার-হাইড্রেশন হয়ে জাগিয়ে তোলে ক্যালশিয়ম চ্যানেলগুলি, যা আদতে কাজ করে শরীরে জলস্তরের সামঞ্জস্য বজায় রাখার।
প্রসঙ্গত, হাইপোন্যাট্রেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষদের মধ্যেই দেখা যায়।
কোন জল শরীরের জন্য উপকারী এ নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় রয়েছে। সংশয় দূর করতে জেনে নিন ঠান্ডা ও গরম জল শরীরে আলাদা আলাদাভাবে কেমন প্রভাব ফেলে।
অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা জল পান করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, এতে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যদিও ঠান্ডা জল বা বরফের কুঁচি জলের মধ্যে দিয়ে খেলে আরাম হয় ঠিকই কিন্তু নিয়মিত বরফ জল পান করলে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।
ঠান্ডা জল পানের প্রভাব
- হজমে বাঁধার সৃষ্টি করে
- পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়
- হৃদস্পন্দন কমায়
- চর্বি জমা হয়
গরম জল পানের প্রভাব
- ভালো পরিপাক
- ডিটক্স হয়
- রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
- যন্ত্রণার উপশম ঘটায়
- ওজন ঝরাতে সাহায্য করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে