রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘সেন্ট্রাল পুল’-এর জন্য ধান কিনে রাজ্যের পাওনা ৩৮০০ কোটি

November 2, 2020 | 2 min read

রাজ্য সরকার (State Government) কৃষকদের থেকে যে ধান কেনে, তার অর্ধেকেরও বেশি ‘সেন্ট্রাল পুল’-এর জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে ওই ধান কেনে রাজ্য। কিন্তু ধান কেনা বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, বকেয়া টাকাও এখনও পুরোপুরি মেলেনি। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে মোট বকেয়া প্রাপ্যর পরিমাণ প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ খরিফ মরশুমের। বাকিটা সদ্য শেষ হওয়া ১৯-২০ মরশুমের। খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। এব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রীর তির্ষক মন্তব্য, কেন্দ্রের কাছে হয়তো টাকা নেই, তাই দিতে পারছে না।

এই পরিস্থিতিতেও আজ, সোমবার রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি উদ্যোগে ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যে (MSP) ধান কেনার যে প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩৫ লক্ষ টন ধান কেনার মতো টাকার ব্যবস্থা এখনই করে ফেলা হয়েছে। খাদ্যদপ্তর ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ধান বিক্রি করার তিনদিনের মধ্যে কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে ব্যাঙ্কে যাতায়াত কম করতে হয়, তার জন্য এবার চেকের বদলে ফের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো চালু করা হয়েছে।

এবারের খরিফ মরশুমে (আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) মোট ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। তবে এবার ধানের যে বাম্পার ফলন হতে চলেছে, তাতে কেনার পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক সব কৃষকের কাছ থেকেই ধান কিনতে হবে। প্রসঙ্গত, সরকারের ধান কেনার উপর খোলবাজারে কৃষকের ভালো দাম পাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করে।

সরকারি উদ্যোগে যে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার কথা তার থেকে ৩৫ লক্ষ টন চাল উৎপাদন হবে। এর মধ্যে ২৩ লক্ষ টন চাল সেন্ট্রাল পুলের জন্য। রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রায় ৬ কোটি রেশন গ্রাহকের জন্য সেন্ট্রাল পুল থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। স্টেট পুলের জন্য চাল থাকবে প্রায় ১২ লক্ষ টন। রাজ্যের নিজস্ব খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের প্রায় ৪ কোটি রেশন গ্রাহককে স্টেট পুল থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। সেন্ট্রাল পুলের চালের জন্য উৎপাদন খরচের পুরোটাই কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। এর মধ্যে ধান কেনা, রাইস মিলে তা ভানানো, মজুত ও পরিবহণের খরচ ধরা আছে।

খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দপ্তরের কাছে এখন ধান কেনার জন্য ১২০০ কোটি টাকা আছে। অর্থদপ্তর থেকে ধান কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। খাদ্যদপ্তরের অধীন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম (ECSC) ধান কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ১৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। পরে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে তারা। রাজ্য সমবায় দপ্তরের (Cooperation Department, Govt. of West Bengal) অধীনস্থ বেনফেড, কনফেড প্রভৃতিও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেবে ধান কেনার জন্য। সরকারি সংস্থাগুলির এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্যরান্টার থাকে রাজ্য সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#GOVT OF WEST BENGAL, #Jyotipriya Mallick, #Cooperation Department

আরো দেখুন