মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ, সিন্ধিয়াদের কুর্সিতে ফেরার পরীক্ষা আজ
আজ মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) কমলনাথের অগ্নিপরীক্ষা। বিধানসভার ২৮টি আসনের উপনির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিয়ে কি ক্ষমতার কুর্সি ফিরে পাবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি বিজেপির ঝুলিতেই যাবে সিংহভাগ আসন? আর তাতে শাসন বজায় রাখবেন শিবরাজ সিং চৌহান! জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভবিষ্যৎও কি ঠিক করে দেবে এই উপনির্বাচন? এই সব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল এখন তুঙ্গে। তবে তার আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস পেলেন কমলনাথ। ভোটের প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্যের দায়ে তাঁকে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কমলনাথ। তারই শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের (Sharad Arvind Bobde) বেঞ্চ কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল।
কমিশনের সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, তারকা প্রচারক ঠিক করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে কে দিল? কাদের তারকা প্রচারক হিসেবে তুলে ধরা হবে, তা ঠিক করবে কে? কমিশন, নাকি রাজনৈতিক দল? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তারপরেই কমিশনের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন তিনি। যদিও তাতে কমলনাথের প্রচারের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও সুবিধে হল না। কারণ, আজ, মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কমলনাথ তথা কংগ্রেসের রাজনৈতিক মুখরক্ষা হল।
বিহারে বিধানসভা ভোট (Bihar Election 2020) যেমন রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়, তেমনই মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনও। একাধিক আর্থিক সংস্কারের পর এই দুই রাজ্যের ভোট মোদি-শাহ-নাড্ডা জুটির কাছে ‘অ্যাসিড টেস্ট। মধ্যপ্রদেশের আজকের উপনির্বাচন কেবল বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রক্ষার লড়াই নয়। কমলনাথ বনাম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রেস্টিজ ফাইটও বটে। ১৫ বছর পর শিবরাজ চৌহানকে হারিয়ে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন কমলনাথ। কিন্তু দলেরই নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহ, দলবদল এবং কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফায় চলতি বছরেই উল্টে যায় সরকার।
আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দেন কমলনাথ (Kamal Nath)। ফের শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) বসেন কুর্সিতে। কিন্তু ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির সংখ্যা ১০৭। কংগ্রেসের ৮৭। তাই ১১৫-র ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতেই এই উপনির্বাচনের লড়াই। কমলনাথের দাবি, ফের কংগ্রেসের (Congress) সরকার হবে। আর বিজেপির (Bjp) বক্তব্য, জয় হবে পদ্মফুলেরই। জনতা কার দাবিকে সমর্থন করবে, উত্তর মিলবে ১০ নভেম্বর।