বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

সমাজকে আয়নার মুখোমুখি দাঁড় করায় ‘দেবী’

March 8, 2020 | < 1 min read

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায় পরিচালিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দেবী’ ।

মাত্র ১৩ মিনিটের এই ছবিটি এই মুহূর্তে সম্ভবত দেশের সব থেকে চর্চিত সিনেমা। সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার বন্যা বয়ে গেছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন কাজল, নেহা ধুপিয়া, শ্রুতি হাসান ও টেলি জগতের অনেক পরিচিত মুখ। ইউটিউবেও আপলোড করা হয়েছে সকলের দেখার জন্যে।

চোখে জল আসেনি এমন দর্শকের সংখ্যা নিতান্তই নেই বললেই চলে।

শুরুতেই দেখা যাচ্ছে একটি ঘরে অনেকজন মহিলা আছেন। কেউ ডাক্তারীর ছাত্রী, কেউ উচ্চবিত্ত  চাকরিজীবি, কেউ অত্যাধুনিক, স্বল্প বসনা, কেউ বোরখা পরা, কেউ মধ্যবিত্ত গৃহবধূ। কেউ আবার প্রত্যন্ত কোন গ্রামের লেখাপড়া না জানা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা। 

একটি আমরা দেখি টিভির পর্দায় খবর দেখানো হচ্ছে। কি নিয়ে খবর সেটি বোঝার আগেই টেলিভিশনের ছবি চলে যায়। আর এরই সঙ্গে দেখা যায় প্রতি চার মিনিট অন্তর কলিং বেল বেজে উঠছে। কেউ ভেতরে আসতে চাইছে। কিন্তু ভেতরে জায়গা কম থাকায় তাকে আসতে দেওয়া হবে কি না এই নিয়ে বিবাদ চলছে। 

বুঝতে অসুবিধা হয়না এঁরা সকলেই ধর্ষিতা এবং মৃত। সব শেষে কাহিনীর মোড় একদম ঘুরে যায় যখন দেখা যায় একটি বাচ্চা মেয়ে প্রবেশ করে সেই ঘরে। অর্থাৎ তাকেও ধর্ষণ করে খুন করা হয়।

এই সিনেমাটি আরো একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরিধান, বয়স, জাত কোন কিছুই ধর্ষণের কারণ হতে পারে না। ধর্ষণের একমাত্র কারণ ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতা। ধর্ষিতার কোন আচরনই ধর্ষণের জন্যে দায়ী নয়। ধর্ষকই ধর্ষণের একমাত্র কারণ।

ভারতের মতো দেশে যেখানে ৮২ শতাংশ মানুষ নারীকে দেবী রূপে পূজো করে, অদ্ভুতভাবে সেখানেই প্রতি চার মিনিট অন্তর একটি করে ধর্ষণ হয়। এই দেশের কোর্টে এখনো ১ লাখেরও বেশি অমীমাংসিত ধর্ষণের মামলা পড়ে আছে। প্রতি দিন প্রায় ৯০ টি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। এই সংখ্যা দেশে হওয়া সমস্ত ধর্ষণের মাত্র ৩২ শতাংশ। 

‘দেবী’ সিনেমাটী মাত্র ১৩ মিনিটে সমজকে একটা বড় প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kajol, #devi, #shrutihasan, #nehadhupia

আরো দেখুন