কালীপুজোয় বাজি না, আবেদন মমতার
কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। এবার একই আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর বন্ধ রাখার আরজি জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সংক্রমণে রাশ টানতে দুর্গাপুজোর মতো এবার কালীপুজোর বিসর্জনেও শোভাযাত্রা বের করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার-সহ নবান্নের (Nabanna) শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কালীপুজো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কালীপুজোয় কোনও বাজি না পোড়ানোর আবেদন করে রাজ্য সরকার।
জানানো হয়, কালীপুজোয়ও (Kali Puja 2020) মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। কালীপুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না। এদিন রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, দুর্গাপুজোয় অনেকে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন তা সত্ত্বেও কোভিড (Coovid 19) সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। মৃত্যু হার কমছে। সুস্থতা বাড়ছে। এসব ঘটনা রাজ্য সরকারকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। এমন আবহে যাতে রাজ্যবাসী সরকারকে সহযোগিতা করে সেই আবেদনও জানানো হয়।
এদিন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay) বলেন, “আদালত নির্দেশিত নিষিদ্ধ বাজি তো বটেই, দয়া করে কেউ কোন বাজি ব্যবহার করবেন না। রোগীদের শরীরে বাজির ধোঁয়া থেকে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই উৎসব সংযত এবং শান্তভাবে পালিত হবে।”
মহামারী পরিস্থিতিতে আতশবাজির ধোঁয়া কতটা মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই একজোট হয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সতর্কবার্তার কথা উল্লেখ করে সোমবার হাইকোর্টে যে মামলাটি দায়ের হয়েছে তাতেও দাবি করা হয়েছে, বাজি পোড়ানো বন্ধ না করা গেলে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে কোভিড। ফলে সমস্ত ধরনের বাজির উৎপাদন ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক আদালত। এরপর মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে বাজি পোড়ানো বন্ধ রাখার আরজি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে শহর বা রাজ্যের কোথাও যাতে বাজি বিক্রি বা তৈরি না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখবে পুলিশ।