পাহাড়ে শান্তির বার্তা দিলেন বিমল গুরুং
এ বারে পাহাড়ে শান্তির বার্তা দিলেন বিমল গুরুংও (Bimal Gurung)। চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি, নবান্নে পাহাড় বৈঠক সেরে উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে এগিয়ে চলার কথা জানিয়েছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। একই সঙ্গে বিনয় তামাং ‘কে বিমল গুরুং’ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘‘উনি এখন পাহাড়ে ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার।’’ এর পরে বুধবার বিমল গুরুংয়ের নতুন অডিয়ো বার্তা (Audio Tape) সামনে এসেছে। সেখানে বিমল গুরুং পাহাড়ে নিজের কর্মীদের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার নন।
বিমলের এই বার্তার কথা শুনেছেন বিনয় তামাংও। তিনি বলেন, ‘‘গলাটা শুনে আমাদের তো সন্দেহ, এটা বিমল কি না! ওঁর লোকজন ভুয়ো টেপও ছড়াতে পারে।’’ যদিও বিমলপন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘আসল-নকল নিয়ে বিনয়দের ভাবতে হবে না। ওটা পাহাড়বাসীদের প্রতি সভাপতিরই বার্তা।’’
এই অডিয়ো বার্তাটি এ দিন সন্ধ্যার মধ্যে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিমল সেখানে জানান, ‘নবান্নে বৈঠক হয়েছে। সেখানকার অন্দরের কথা সরকার কিছু বলেনি। বিনয়, অনীত সেখান থেকে বেরিয়ে ইচ্ছামতো কথা বলেছেন। আবার চাকরি, স্থায়ী কাজের মতো নানা প্রলোভন ছড়ানো হচ্ছে। পাহাড়বাসীকে সচেতন থাকতে হবে।’ বিমল অনুগামী ও কর্মীদের বলেন, ‘সবাইকে শান্তি বজায় রেখে সংগঠনের কাজ করতে হবে। চিন্তার কিছু নেই। রাজনীতিতে সময়ই শেষ কথা বলে।’ অডিয়োর শেষে ‘জয় গোর্খা’, ‘জয় গোর্খাল্যান্ড’ও বলেন বিমল। শেষের বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার। তিনি বলেছেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডকে বিক্রি করে রাজনীতি চলেছে।’’
পর্যবেক্ষকদের মতে, নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে বিনয়দের প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য। কিছু দাবি মানার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ফলে পাহাড়ে বিনয়দের শক্তি বাড়তে পারে বলে অনেকের মত। প্রাসঙ্গিক থাকতে গেলে এর পাল্টা বিবৃতি দিতেই হত বিমলকে। তাই পুরনো কায়দায় অডিয়ো বার্তা দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও নেতাই তেমন মন্তব্য করতে চাননি। শুধুমাত্র দলের এক শীর্ষ স্তরের নেতা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। সময়মত যা বলার মুখ্যমন্ত্রী বলবেন।’’