দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ব্যারেজ মেরামতি শেষ, কাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে জল পরিষেবা

November 6, 2020 | 2 min read

দুর্গাপুর ব্যারেজের (Durgapur Barrage) গেট মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেরামতির কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়। ফলে শুক্রবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার তিন ব্লক ও শিল্পাঞ্চল এলাকায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে ডিভিসির মাইথন ব্যারেজ থেকে কখন জল ছাড়া হবে তার উপর। দ্রুত সেখান থেকে জল ছাড়া (Water Supply হলে বাঁকুড়াবাসীর জলকষ্ট মিটবে। ব্যারেজ মেরামতি হয়ে যাওয়ার খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বাঁকুড়াবাসী। তবে ব্যারেজ জলশূন্য থাকায় এদিন সকাল থেকেই বাঁকুড়ার তিন ব্লকে পানীয় জলের সঙ্কট ছিল। প্রশাসনের তরফে জলের পাউচ ও ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য কারখানাগুলিতেও জলের সঙ্কট অব্যাহত ছিল। বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, এদিন সন্ধ্যা নাগাদ লকগেট মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফলে আজ, শুক্রবার সকাল থেকে আগের মতোই পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি বড়জোড়া ও মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে ব্যারেজ কার্যত জলশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বাঁকুড়া-১ ও ২ ব্লক এবং বড়জোড়া ব্লকে পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়। এছাড়া শিল্পাঞ্চলেও জলের সঙ্কট দেখা দেয়। জল সঙ্কটের জেরে ডিভিসির অন্যতম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়। লকগেট মেরামতের কাজ শুরু করতে গিয়েও সেচদপ্তরের আধিকারিকদের নাকানি চোবানি খেতে হয়। বালির বস্তা ফেলে জলের স্রোত আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, তা না হওয়ায় মেরামতির কাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে চার দিনের চেষ্টায় জলের স্রোত আটকে বুধবার দুপুরে মেরামতির কাজ শুরু হয়। জেলা প্রশাসন ও সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। এরপর মাইথন থেকে জল ছাড়বে ডিভিসি। ওই জল মাঝরাত বা ভোরের পর পানীয় জল সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চতায় পৌঁছবে।

জল সঙ্কটের কারণে এদিন মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ। তিনি বলেন, এদিন কেন্দ্র থেকে প্রায় ৮৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ব্যারেজের মেরামতির কাজ প্রায় শেষ বলেই আমাদের জানানো হয়েছে। রাত বা ভোরের মধ্যে জলের জোগান এলে নতুন করে আর কোনও ইউনিট আমাদের বন্ধ করতে হবে না বলে আশা করছি। এদিনও বড়জোড়া ও মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকটি কারখানা জলের অভাবে বন্ধ ছিল। তাছাড়া তিন ব্লকে পানীয় জলের সঙ্কট অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিনও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে তিন ব্লকে ৪০টি ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে এদিনও ৪০ হাজার জলের পাউচ বিলি করা হয়।

বাঁকুড়া-১ ব্লকের কদমাঘাঁটির বাসিন্দা জয়দেব সরকার বলেন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমরা পানীয় জল পেতাম। কিন্তু, ব্যারেজের লকগেট ভেঙে যাওয়ায় প্রায় পাঁচদিন ধরে জল পাচ্ছি না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#water supply, #Barrage

আরো দেখুন