বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

চিনে নিন ইতিহাসের বিখ্যাত এই বাঙালি আইনজীবিদের

November 9, 2020 | 3 min read

আজ ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস ডে। ভারতের উচ্চ আদালত ১৯৯৫ সালে আজকের এই দিনটিকে প্রথম আইনগত সহায়তা প্রদান দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে।  

আজকের এই দিনে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের কিছু বিখ্যাত বাঙালি আইনজীবিদেরঃ 

আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

স্বাধীনচেতা পুরুষসিংহ বাংলার বাঘ নামে পরিচিত স্যার আশুতোষ মুখার্জীর জীবনের প্রধান লক্ষ্য ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারক হওয়া। ১৮৯৪ সালে তিনি ল’ এর ওপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ল- এর প্রফেসর হন। ১৯০৪ সালে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত হন।        

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ

ইনি হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও লেখক। তিনি স্বরাজ্য পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়ের অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের আয় অর্জনকারী উকিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সম্পদ অকাতরে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে  আছেন। তিনি “দেশবন্ধু” নামে জগৎ বিখ্যাত হয়ে আছেন।  

শরৎচন্দ্র বসু

শরৎচন্দ্র বসু ছিলেন একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী, পেশায় ব্যারিস্টার এবং ভারতের স্বাধীনতা কর্মী। তিনি জানকীনাথ বসুর ছেলে এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মেজ ভাই। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন ও পরবর্তীতে একটি অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের একজন নৈতিক সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে আদালতে বিনা পারিশ্রমিকে সওয়াল করতেন। 

অতুল প্রসাদ সেন

বাংলা ভাষা সাহিত্যে ও সঙ্গীতের এক অতি পরিচিত নাম অতুল প্রসাদ সেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার ও গায়ক। বাংলা ভাষীদের কাছে অতুল প্রসাদ সেন প্রধানত একজন গীতিকার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু জানেন কি লন্ডনে গিয়ে তিনি আইন শিক্ষা গ্রহন করেন। আইন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৯৪ সালে তিনি বাংলায় ফিরে আসেন এবং রংপুর ও কলকাতায় অনুশীলন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি লখনউ চলে যান এবং সেখানে অবধ বার অ্যাসোসিয়েশন ও অবধ বার কাউন্সিলের সভাপতি হন। তার উপার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ তিনি স্থানীয় জনসাধারণের সেবায় ব্যয় করেন। 

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

বঙ্গ-বিভাজনের অন্যতম প্রধান মুখ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সবারই জানা এই আইনজীবীই বাংলাকে ভারতে রাখার পক্ষে সওয়াল করেন। যদিও তিনি নিজে ভারত বিভাজনের তীব্র বিরোধী ছিলেন। ডঃ মুখার্জী ফজলুল হক মন্ত্রিসভায় অবিভক্ত বাংলার অর্থমন্ত্রী রূপে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নেহেরুর মন্ত্রিসভায় শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জী শিল্পমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Advocates

আরো দেখুন