দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট শুরু

November 9, 2020 | 2 min read

করোনা-পরিস্থিতিতে সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল। স্বাস্থ্য-বিধি আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শনিবার থেকে আবার খুলে গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট (Poramatir Hat)। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বলেন, “বিভিন্ন ব্লক থেকে যে সব হস্তশিল্পী পোড়ামাটির হাটে আসবেন, তাঁদের আগেই লালারস পরীক্ষা করানো হয়েছে। হাটে এলে তাঁদের স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড দেওয়া হচ্ছে। দূরত্ব মেনেই বসতে হচ্ছে শিল্পীদের।’’

মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) সারা বছরই পর্যটকদের আসা-যাওয়া লেগে থাকে। দিনে মন্দির দেখে তাঁদের অধিকাংশই মুকুটমণিপুর বা জয়রামবাটি চলে যেতেন। তাতে আর্থিক ভাবে বঞ্চিত হতেন বিষ্ণুপুরের ব্যবসায়ীরা। তাই পর্যটক ধরে রাখার জন্য মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল পোড়ামাটির হাট। মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পীরা তাঁদের পসরা নিয়ে সেখানে আসেন।

শনিবার জোড় শ্রেণির মন্দির প্রাঙ্গণে পোড়ামাটির হাটে বসেছিল হস্তশিল্পের প্রায় ৭০টি দোকান। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, বিক্রি হয়েছে প্রায় লক্ষ টাকার সামগ্রী। হাওড়া থেকে পরিবার নিয়ে বিষ্ণুপুর বেড়াতে এসেছেন দেবযানী পাল। তিনি বলেন, “দোকানে বালুচরি ও অন্য হস্তশিল্পের দাম একটু বেশি। তবে হাটে দাম কম থাকায় অনেক কিছু কিনতে পারলাম। মন্দির ঘুরতে এসে এটা বাড়তি পাওনা।” 

শনিবার সন্ধ্যায় চালু হয়েছে ট্যুরিস্ট লজ সংলগ্ন স্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠান। বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল বলেন, “বিষ্ণুপুর পর্যটকদের শহর। শিল্প, সংস্কৃতি ও সঙ্গীতের মেলবন্ধন না হলে পর্যটক আসবে কেন? জেলা প্রশাসন ও পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলেই স্বাস্থ্য-বিধি মেনে শনিবার শুরু হল লোকপ্রসার প্রকল্পের নানা অনুষ্ঠান।”

শহরের রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “লোকপ্রসার প্রকল্পের অনুষ্ঠান হচ্ছে, এটা ভাল। তবে বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রচার ও প্রসারে এই মঞ্চ ব্যবহার করলে আরও ভাল হত।” তাঁর দাবি, কয়েকবছর আগেও সেখানে বিষ্ণুপুর ঘরানার গান গাইতেন শিল্পীরা। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Poramatir Hat, #Bishnupur

আরো দেখুন