সফল ট্র্যাকিওস্টমি, সৌমিত্রের আজই হতে পারে প্লাজমাফেরেসিস
ভালভাবেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) ট্র্যাকিওস্টমি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটার মেডিক্যাল বুলেটিনে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানালেন ডা. অরিন্দম কর। সব ঠিক থাকলে বহস্পতিবার বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রথম পর্যায়ের প্লাজমাফেরেসিস করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডা. কর জানান, এদিন কিংবদন্তি অভিনেতার ট্র্যাকিওস্টমি করেছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. দীপঙ্কর দত্ত। সৌমিত্রবাবুর বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন ছিল। তবে তা খুব ভালভাবে তা সম্পন্ন হয়েছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছে। এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে বুধবারই প্লাজমাফেরেসিসের পথে হাঁটবেন চিকিৎসকদের দল। আশা করা হচ্ছে, প্লাজমাফেরেসিস সফল হলে অভিনেতার আচ্ছন্নভাব ও অসংলগ্নতা অনেকটাই কেটে যাবে।
গত ৬ অক্টোবর শহরের বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কোভিড (COVID-19) রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কোভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। প্রায় অচেতন অবস্থাতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। মাঝেমধ্যে চোখ খুললেও আচ্ছন্নভাব রয়েছে।
লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও একথা জানিয়েছেন ডা. অরিন্দম কর। এদিন তিনি জানান, বর্ষীয়ান অভিনেতার শরীরের বাকি সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। নেই জ্বর। রক্তচাপ ও অক্সিজেন স্যাচুরেশনও স্বাভাবিক। প্লাজমাফেরেসিস পদ্ধতির পর সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে। অবশ্যই তাঁর শারীরির অবস্থা এবং কো-মর্বিডিটির কথা মাথায় রেখে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আইসিউতে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তারও অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে জানান ডা. কর। তবে চিকিৎসরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন বলে জানান তিনি।