উদয়ন পণ্ডিতকে ভুলবে না জয়চণ্ডী পাহাড়ের মানুষ
চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আজও রঘুনাথপুরের জয়চন্ডী পাহাড় এলাকার মানুষ উদয়ন পণ্ডিতকে ভুলতে পারেনি। পাহাড়ের আনাচে কানাচে আজও যেন সেই উদয়ন পণ্ডিতের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই সৌমিত্রবাবুর (Soumitra Chatterjee) চলে যাওয়ার খবর শুনে যেন কেঁদে উঠছে পাহাড়ের শিখরভূমি।
সালটা ছিল ৮০-র দশক। তিনদিন ধরে জয়চন্ডী পাহাড়ে ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ের চড়াই-উৎরাইয়ের দৃশ্য আজও অনেকের চোখে ভাসে। এলাকার মানুষ সেই প্রথম দেখেছিল সিনেমার শ্যুটিং। তারপর আর সেই দৃশ্য ভুলতে পারেনি।
বর্তমান সরকার জয়চন্ডী পাহাড়কে ট্যুরিস্ট এলাকা ঘোষণা করেছে। এলাকাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাম আমলে পাহাড়ের সৌন্দর্যকে দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’ পর্যটন উৎসব শুরু করে। আজও সেই উৎসব ডিসেম্বরে হয়ে থাকে। সত্যজিতের স্মৃতি ধরে রাখতে পাহাড়ে পাদদেশে সত্যজিৎ রায় সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। জয়চন্ডী এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, আজও সৌমিত্রবাবুর সেই কাটারি হাতের দৃশ্য ভুলতে পারিনি। আত্মগোপনকারী উদয় পণ্ডিতের কাটারি হাতে গুপি ও বাঘাকে দেখে বলা সেই বক্তব্য ‘সামনে এগিয়েছিস কি মৃত্যু’ আজও কানে নাড়া দিয়ে যায়। এলাকার মানুষ চাইছেন, সৌমিত্রবাবুর স্মৃতি ধরে রাখতে এখানে একটা স্মৃতিচিহ্ন গড়ে তোলা হোক। রাজ্য সরকারের কাছে এলাকার মানুষ দাবি রাখবেন, সত্যজিৎবাবুর মতো সৌমিত্রবাবুর নামেও পাহাড়ের পাদদেশে নামাঙ্কিত হোক স্মৃতির একটি ফলক।