প্রায় দেড় লক্ষ পড়ুয়াকে কন্যাশ্রী দেওয়ার টার্গেট
চলতি আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪১১ জনকে কন্যাশ্রী (Kanyashree Prakalpa) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আর এই লক্ষ্যপূরণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রীদের প্রায় ৮২ কোটি টাকা দেওয়া হবে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৭৩ জন কন্যাশ্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কে-ওয়ান, কে-টু, দু’টি ভাগে ছাত্রীদের কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কন্যাশ্রীদের কে-ওয়ানের টাকা নিয়মিত দেওয়া হয়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কে-টুয়ের ক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের সমস্যা হচ্ছিল। এখন সেটা মিটে গিয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় বিপুল সংখ্যক কে-টু কন্যাশ্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্যমাত্রার অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়েই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কে-ওয়ান কন্যাশ্রীর জন্য ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর হতে হবে। সাধারণত এই বয়সের কন্যাশ্রীরা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছর ছাত্রীদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে নাম নথিভুক্ত করার পর অনলাইনে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফর্ম ফিলআপ করে। আর স্কুলের পক্ষ থেকে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্লকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্লকের পক্ষ থেকে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে কে-টুয়ের জন্য ছাত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি কিন্তু ১৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। কোনও ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়ে গেলে তিনি সেই স্কুলের মাধ্যমে কে-টুয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর তিনি স্কুল থেকে পাশ করে কলেজে চলে গেলে সেখানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। অনেক সময় কে-ওয়ানের জন্য কোনও ছাত্রী আবেদন না করলেও ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই তিনি সরাসরি কে-টুয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। কে-ওয়ানের জন্য প্রতিটি ছাত্রীকে বছরে হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর কে-টুয়ের জন্য বছরে একবারই ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
গত আর্থিক বছরে এই জেলায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১০ জনকে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪১১ জন কন্যাশ্রীকে টাকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে কে-ওয়ান রয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬০২ জন এবং কে-টু রয়েছে ২৭ হাজার ৮০৯ জন। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৬৩ জন কন্যাশ্রীকে কে-ওয়ানের (K-One) আর ২২ হাজার ৫১০ জনকে কে-টুয়ের টাকা দেওয়া হয়েছে।