সৌমিত্র ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কুরুচিকর পোস্ট, ক্ষুব্ধ পৌলমী

করোনা কালে কেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কাজ করা থেকে আটকালেন না মেয়ে, পরিবার আর্থিকভাবে অভিনেতার উপর কতখানি নির্ভরশীল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা কুরুচিকর পোস্ট করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ পৌলমী বসু।

November 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সোশ্যাল মিডিয়ার কাণ্ড-কারখানা দেখে মেজাজ হারালেন সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু (Poulami Bose)। আসলে গত কয়েকদিন ধরেই প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করছে নেটিজেনদের একটা অংশ। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ পৌলমী। গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত ৬ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ ক্লিনিকে ভরতি হয়েছিলেন বর্ষীয়াণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee)। তারপর থেকে টানা প্রায় ৪০দিন বাবার অসুস্থতার খবর শুনে দিন কেটেছে। রোজই তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন পৌলমী বসু। হাসপাতাল থেকে বাড়ি দৌড়ঝাঁপও নেহাত কম হয়নি। আর দিওয়ালির পরের দিনই আসে দুঃসংবাদ। ইহলোকের মায়া কাটিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা। আর তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর ও তথ্য ছড়িয়ে পরে। করোনা কালে কেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কাজ করা থেকে আটকালেন না মেয়ে, পরিবার আর্থিকভাবে অভিনেতার উপর কতখানি নির্ভরশীল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা কুরুচিকর পোস্ট করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ পৌলমী বসু।

ফেসবুকে এমনই একটি লিংক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “এই অর্ধেক সত্যি খবরের কোনও মানে নেই। এই নোংরামো কবে থাকবে? তারকাদের পরিবারকে নিয়ে মানুষ যা ইচ্ছা তাই বলে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া বলে যা খুশি তাই চলে!” পরে কমেন্টে আবার লেখেন, এর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন সৌমিত্রকন্যা। এদিকে, লাগাতার রিপোর্ট করার জন্য পৌলমীর পোস্ট করা লিংকটি সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক। তবে তার আগেই ওই লিংকের লেখা হোয়াটসঅ্যাপ-সহ অন্যান্য মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে যায়। বাবাকে হারিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অপ্রীতিকর পরিবেশের সম্মুখীন হয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তবে অনেকেই এই পরিস্থিতিতে তাঁকে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen