‘নো এন্ট্রি’ নয়, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় থাকবে নির্দিষ্ট দূরত্ব
উচ্ছ্বাস, আবেগ থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে প্রতি বছরের মতো চিরাচরিত উন্মাদনা অনুপস্থিত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagaddhatri Puja)। তবু বাঙালির উন্মাদনার কথা মাথায় রেখে সতর্ক চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার, পঞ্চমীর দিন মহামারী পরিস্থিতিতে কীভাবে উৎসব উদযাপন হবে, তা নিয়ে একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করলেন পুলিশ কমিশনার (CP) হুমায়ূন কবীর। চন্দননগর কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু ও অন্যন্য পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরও বুঝিয়ে দেওয়া হল নিজেদের দায়িত্ব।
পুলিশ কমিশনার এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন করোনা কালে জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিধিনিষেধের কথা –
- মূল মণ্ডপে প্রবেশের পাঁচ মিটার দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
- প্রত্যেক পুজো কমিটিকে তাঁদের মণ্ডপে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
- দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, কেউ মাস্ক না পরলে তাকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- শিশুদের জন্য বিভিন্ন বুথ থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
- কোথাও বেশি সংখ্যক মানুষ জমায়েত করেছেন কি না, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
এছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও সোমবার অর্থাৎ পুজোর দিন বিকেল চারটে থেকে পরের দিন ভোর ছটা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের যান চলাচলের ক্ষেত্রে ‘নো এন্ট্রি’ জারি করা হয়েছে। তবে চন্দননগর (Chandannagar) শহরের যারা বাসিন্দা তাদের জন্য দুই ও চার চাকার গাড়ির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও সাড়ে চারশো পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে। চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং রুখতে পুলিশকর্মীরা মোটর সাইকেলে করে টহল দেবেন।
পাশাপাশি জলপথেও পুলিশি টহলদারি জারি থাকবে। তবে এবারের পুজোয় ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিসর্জনের দিন সেই চন্দননগরের পথে সেই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা দেখা যাবে না। করোনার কারণে নিষিদ্ধ হয়েছে কার্নিভ্যাল। প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুজো কমিটির পক্ষ থেকে ১৫ জন ঠাকুর নিয়ে ঘাটে আসবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাটে নিযুক্ত কর্মীরা বিসর্জনে সাহায্য করবেন।