ডিজিটাল রেশন কার্ডে বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার, ফোন নম্বর
প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আগেই। এবার ডিজিটাল রেশন কার্ডে (Digital Ration Card) বাধ্যতামূলক হয়ে গেল আধার এবং ফোন নম্বর সংযুক্তিকরণ। বয়স পাঁচ বছরের নীচে হলে অবশ্য ছাড় রয়েছে এই নিয়মে। তার বেশি হলেই নতুন কার্ডে করতে হবে আধার যোগ। অনলাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অফলাইনের বিভিন্ন আবেদনের ফর্ম সংশোধন করেছে খাদ্যদপ্তর। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আধার বাধ্যতামূলক করার কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল রেশন কার্ড গ্রাহকদের আধার ও ফোন নম্বর সংযুক্তির জন্য আলাদা ১১ নম্বর ফর্ম এনেছে রাজ্য সরকার।
এতদিন রেশন (Ration) সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার জন্য ৩ থেকে ১০ নম্বর ফর্ম ছিল। পরিবারের সব সদস্যের নতুন কার্ডের জন্য ৩ নম্বর এবং কোনও একজন সদস্যের জন্য ৪ নম্বর ফর্ম জমা দিতে হয়। দু’টি ফর্মেই আধার, ভোটার কার্ড, মোবাইলের নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। দিতে হবে আধার কার্ডের প্রতিলিপিও। এমনকী, আবেদনকারীর দু’টি মোবাইল নম্বর ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর এবং ই-মেইল আইডি চাওয়া হয়েছে ফর্মে। কোন রেশন ও কেরোসিন ডিলারের কাছ থেকে পরিবারটি খাদ্যসামগ্রী ও কেরোসিন নিতে চাইছে, নাম ও নম্বর উল্লেখ করতে হবে। তবে ভোটার কার্ডের কপি চাওয়া হয়নি।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে রেশন কার্ড গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজ সম্পূর্ণ করতে আপাতত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে কেন্দ্র। নবান্নও চাইছে, রাজ্য খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্ত করা হোক। তাতে গোটা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। পাশাপাশি মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকলে বার্তা প্রদান এবং ওটিপির মাধ্যমে রেশনও তোলা যাবে। নতুন কার্ডের আবেদনে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এবার বাধ্যতামূলক হল।
লকডাউনের আগে পর্যন্ত রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে ৭ কোটির বেশি গ্রাহকের আধার সংযুক্তি হয়েছে। করোনায় যে গ্রাহকদের আধার ও মোবাইল নম্বর (Mobile) সংযুক্তকরণ হয়নি, তাঁদের জন্য ১১ নম্বর ফর্ম আনা হল।