শিকেয় সামাজিক দূরত্ব, ভিড় বাড়ছে দীঘায়
টানা ৭মাস ২০দিন পর ১১নভেম্বর থেকে দীঘা যাওয়ার দু’জোড়া লোকাল ট্রেন (Local Train) চালু হয়েছে। পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী, সকলেরই দাবি ছিল, দীঘাগামী লোকাল চালু হোক দ্রুত। কারণ ট্রেনে চড়েই বেশিরভাগ পর্যটক দীঘা যাতায়াত করেন। লোকাল চালু হওয়ায় দীঘায় রোজই পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ছে। একইসঙ্গে ঘনাচ্ছে উদ্বেগও। কারণ, দীঘার সমুদ্র উপকূলে সামাজিক দূরত্ব (Social Distance) বলে কিছু নেই। পর্যটদের মুখ থেকে মাস্ক কার্যত উধাও। একই ছবি ধরা পড়ছে দীঘার বিভিন্ন দোকানেও। ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা, অধিকাংশই মাস্কহীন। কোথাও পুলিসের কড়াকড়ি বিন্দুমাত্র নেই। একনজরে দেখলে মনে হবে, মহামারী শেষ, জয়ের আনন্দোৎসব চলছে দীঘায়।
পাথরের নানারকম অলঙ্কার বিক্রি করেন দীঘার (Digha) অশোক দাস। তাঁর মুখে মাস্ক নেই। কেন নেই জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, দীঘায় ৯০শতাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক নেই। আমরা মাস্ক ব্যবহার করি। কিন্তু, দোকানে বসে থাকার সময় সেটা খুলে রাখি। গোড়ার দিকে আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাস্ক পরে আসতে হবে বলে ফ্লেক্স দিয়েছিলাম। কিন্তু, কে শোনে কার কথা। তারপর মাস্কবিহীন ব্যাপারটি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে এখানে। অলঙ্কারের দোকানদার প্রসেনজিৎ বেরা বললেন, দীঘা চত্বরে করোনা সংক্রমণ ততটা নেই। তাই এখানে আতঙ্ক খানিকটা হলেও কম। সন্ধ্যার পর পর্যটকরা দোকানে আসার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করেন। দিনের বেলায় সেভাবে তাঁরা ব্যবহার করেন না। এদিন মুখে মাস্ক পরেই সৈকতে ডাব বিক্রি করছিলেন কমল মাঝি। তিনি বলেন, দীঘায় পর্যটকদের বেশিরভাগ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অনেকে স্যানিটাইজার ব্যবহারও করছেন না। আগে দীঘায় কয়েকজনের করোনা হয়েছিল। প্রত্যেকেই সুস্থ হয়েছেন। এখন নতুন করে কেউ সংক্রামিত হয়নি।