রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুজোয় ওয়েভারে আদায় ১০০ কোটি

November 21, 2020 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

কোষাগারের হাল ফেরাতে আস্থা ছিল ওয়েভার স্কিম (Waiver Scheme)। সেইমতো চালু হওয়ার পর থেকে ভালোই সাড়া মিলছে। ওয়েভার স্কিমের বাইরেও মানুষ কর (Tax) মিটিয়েছেন। যার ফলে পুজোর মরশুমেই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) সম্পত্তি কর বাবদ আয় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। নাগরিকের কর দেওয়ার মানসিকতায় আশার আলো দেখছে কর্তৃপক্ষ।
পুর রাজস্ব বিভাগ সূত্রের খবর, ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে ওয়েভার। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে মাস দেড়েক। এখনও পর্যন্ত কোষাগারে ঢুকেছে আনুমানিক ৪৩ কোটি টাকা। আবেদন জানিয়েছেন প্রায় ৫৫-৬০ হাজার নাগরিক। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই অর্থ প্রদান করেছেন ৬০০০ মানুষ। যদিও, সম্পত্তি করদাতাদের মধ্যে যাঁরা ওয়েভার স্কিমে টাকা দিয়েছেন, তার একটা বড় অংশই কমার্শিয়াল অর্থাৎ ব্যবসার ক্ষেত্র থেকে এসেছে। ওয়েভার স্কিমের বাইরেও অনেকে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েছেন। সেখানে ওয়েভার-সহ সব মিলিয়ে পুজোর মরশুমেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে পুরসভা। কর প্রদানের এই প্রবণতাকে যথেষ্ট ভালো সাড়া বলেই মনে করছেন পুরকর্তারা। এক সিনিয়র অফিসারের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে এটা ভালোই। কারণ, শুনতে প্রায় মাস দেড়েকের বেশি সময় মনে হলেও আদতে মাত্র ২৫-২৬ দিন অফিস খোলা ছিল। মাঝে দুর্গোৎসব, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো মিলিয়ে প্রায় দিন কুড়ির সরকারি ছুটি। ফলে তার মধ্যে এই রোজগার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।
পুরসভার নথিতে করদাতার সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। কর্তৃপক্ষের টার্গেট, ওয়েভার থেকে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করা। সেই টার্গেট পূরণ করতে উঠে পড়ে নেমেছেন অফিসাররা। বেশি সংখ্যক মানুষকে ওয়েভারের আওতায় আনতে টিভি, রেডিও, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি চলছে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি। প্রচুর বকেয়া আদায়ে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন রাজস্ববিভাগের কর্মীরা। অন্যদিকে, কোষাগারে টাকা ঢোকাতে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সম্পত্তি করের আওতায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আনাই এখন বিশেষ লক্ষ্য। সূত্রে খবর, সংযুক্ত এলাকায় তিনটি ওয়ার্ডে এখনও ভ্যালুয়েশন হয়নি। তাই বহু সম্পত্তির মূল্যায়ন বাকি রয়েছে। পুরনো কলকাতার ১-৯০ নম্বরের মধ্যে একাধিক ওয়ার্ডে এমন অনেক বাড়ি-জমি রয়েছে, যেগুলির মূল্যায়ন হয়নি।
এগুলির মূল্যায়ন হলে সম্পত্তি করের আওতায় আরও লক্ষাধিক করদাতাকে যোগ করা যাবে।  সেই উদ্দেশ্যে মূল্যায়ন না-হওয়া সম্পত্তির মূল্যায়ন করার জন্য নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু হয়েছে। তবে সেখানে তেমন সাড়া মিলছে না। এদিকে, কলকাতার বুকে একের পর এক তৈরি হয়েছে বহুতল আবাসন। অনেক ক্ষেত্রে মিউটেশনের সমস্যা রয়েছে। সেটা তাড়াতাড়ি করানোই এখন লক্ষ্য। তাই খুব তাড়াতাড়ি বাড়ির দরজায় কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#waiver scheme, #KMC

আরো দেখুন