ডলফিন সম্পর্কে এই বিষয়গুলি জানতেন কি?
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাঝে ডলফিন এক বিস্ময়কর প্রাণী। এরা খুবই শান্তিপ্রিয় এবং মাঝে মাঝে এমন সব বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে থাকে যে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়।
জেনে নিন এই বুদ্ধিমান প্রাণিটির সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্যঃ
১) জানেন কি, পৃথিবীতে প্রায় ৪০ ধরনের ডলফিন পাওয়া যায়।
২) ডলফিন উষ্ণ তাপমাত্রা পছন্দ করে। তাই তারা জলের উপরিভাগে সাঁতার কাটতে পছন্দ করে। এজন্য ডলফিনদের সমুদ্র কিংবা বড় নদীর তীরেই বেশি দেখা যায়।
৩) সব ডলফিনরাই সমুদ্রে বাস করে না। তাদের বিভিন্ন তাপমাত্রা ও রুচি অনুযায়ী সমুদ্র কিংবা নদী বেছে নেয়। আপনি জানেন কি? পৃথিবীতে পাঁচ প্রজাতির ডলফিন বড় নদীতে বাস করে।
৪) ডলফিনদের আমরা শান্তিপ্রিয় বলেই জানি। কিন্তু এরা সর্বভূক। মানুষের জন্য হয়ত তারা কোন বড় ঝুঁকি বহন করে না তবে তারা সমুদ্রের অন্যতম শিকারী প্রজাতি। তারা মাছ, স্কুইড ও নানা ধরনের সামুদ্রিক শামূক ও ঝিনুক খেয়ে থাকে।
৫) ডলফিন প্রচুর পরিমাণে মাছ খায়। তাদের দেখে হয়ত কিছু বোঝা যায় না তবে ২৫০ পাউন্ডের একটি ডলফিন দিনে প্রায় ৩০ পাউন্ডের সম ওজনের মাছ খেয়ে থাকে।
৬) ডলফিন দুর্দান্ত শিকারিও! বাচ্চা ডলফিনগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের সঙ্গেই থাকে। এরপর শিকারে অভ্যস্ত হলে আলাদা হয়ে যায়। কিলার হোয়েল প্রজাতির ডলফিন সামুদ্রিক সিল কিংবা পেঙ্গুইন শিকারের সময় প্রায় তিন মিটার উঁচুতে লাফ দিতে পারে।
৭) বাদুড় যেমন আকাশে উড়লেও পাখি নয়, তেমনি ডলফিন জলে বাস করলেও মাছ নয়। বাদুড়ের মতো ডলফিনও স্তন্যপায়ী।
৮) মজার ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের মতো ডলফিনও একে অপরকে নাম ধরে ডাকে৷ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ‘বটলমুখো’ ডলফিনরা মা তার সন্তানকে, এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে নাম ধরে ডাকে। এমনকি এ প্রাণীটি ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে।
৯) ডলফিনকে বলা হয় সমুদ্রে মানুষের বন্ধু। সমুদ্রে পথহারা নাবিককে কিনারা খুঁজতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি অথৈ সাগরে জাহাজ ডুবিতে হাঙরের মতো হিংস্র প্রাণীর হাত থেকেও মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে ডলফিন। ডুবন্ত নাবিকের চারপাশে ঘুরে তৈরি করে ডলফিন বর্ম। তাই যেখানে ডলফিনের দেখা মেলে সেখানে অনেকটাই নিশ্চিন্ত সমুদ্রচারীরা।
১০) ডলফিন অর্থ ঠোঁট। এদের নাক ঠোঁটের মতো, শরীর লম্বাটে। শুশুক আকারে ছোট, নাক বোচা। ডলফিন নামের একটি মাছও আছে। লম্বা গড়নের এই মাছটি নীল রঙের, তাতে উজ্জ্বল সোনালি, সবুজ ও বেগুনী আভা আছে।