জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে বাড়ছে শয্যা সংখ্যা
জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণের কোভিড হাসপাতালে (Covid Hospital) আরও ২১২টি শয্যা বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনও চলে এসেছে। এই কাজের জন্য আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণের দোতলায় পরিকাঠামো নির্মাণ করে এই শয্যাগুলি বসানো হবে। বিগত কিছুদিন ধরে জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্যদপ্তর দুর্গাপুজোর আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, পুজোর পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। সেই সময়ে করা অনুমান পরবর্তীতে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এবার ছটপুজোর পরেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই স্বাস্থ্যদপ্তর এখানে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) করোনা মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত ওএসডি সুশান্তকুমার রায় বলেন, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোভিড হাসপাতালে আরও ২১২টি শয্যা বৃদ্ধি করা হবে। গত শনিবার এর অনুমোদন এসেছে। কোভিড হাসপাতালে এজন্য জায়গা রয়েছে। সেখানে কিছু সিভিল ও ইলেট্রিক্যাল পরিকাঠামো তৈরির কাজ করতে হবে। পুরো কাজটাই পূর্তদপ্তরের মাধ্যমে হবে। জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে অবস্থিত কোভিড হাসপাতালে ৩৪৩টি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি সিসিইউ শয্যা রয়েছে। আরও ২১২টি শয্যা যুক্ত হবে। তার মধ্যে ১২টি সিসিইউ শয্যা করা হবে। তাহলে এখানে মোট শয্যা সংখ্যা হবে ৫৫৫। তার মধ্যে মোট সিসিইউ শয্যা সংখ্যা হবে ৪২টি। বর্তমানে এখানে ২০০ করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কিছুদিন আগেও জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। শিলিগুড়িতেও এই সংখ্যা বাড়ছে। সেখানেও শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, নতুন শয্যা বৃদ্ধি হলে যথেষ্ট চাপ বৃদ্ধি হবে। এজন্য আরও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বেশকিছু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অনুমোদন পাওয়ার পরেই এখানে কীভাবে সেই শয্যা (Covid Bed) বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে উদ্যোগ শুরু করেছে দপ্তর। জানা গিয়েছে, বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণের যে তিনটি স্টেডিয়াম রয়েছে, তার দুই পাশের দোতলার অংশে এই শয্যাগুলি বসানো হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর অগ্রসর হবে।