রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

‘মাটির সৃষ্টি’ বদলেছে জনজীবন

November 24, 2020 | 2 min read

অনাবাদী জমি হয়ে উঠবে সুজলা সুফলা। এমনই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৈরি হয়েছিল প্রকল্প ‘মাটির সৃষ্টি’ । কাজ শুরু হয়েছিল রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায়। কারণ, ওই জেলাগুলিতে কৃষকদের হাতে জমি থাকলেও তার বেশিরভাগ অনাবাদী পড়ে থাকে। তাই কৃষকদের দারিদ্র ঘোচে না। অনাবাদী জমিতে ফসল ফলানোর জন্য ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল মে মাস থেকে। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই সমাজের এক প্রান্তে পড়ে থাকা মানুষজনের জীবন বদলাতে শুরু করেছে।

যে ৬টি জেলায় ‘মাটির সৃষ্টি’ (Maatir shrishti) প্রকল্পের কাজ চলছে, তার মধ্যে আছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এখনও ৬ মাস হয়নি, কিন্তু মানুষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনটা ধরা পড়েছে নানা তথ্যে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ছিল ২০১২ একর জমি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সুফল পেয়েছে ২০০৪ একর। তাতে ১০০ দিনের কাজ পেয়েছেন ১২,০৪৫ জন। কর্মদিবস তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ। ৩,৪১০ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ৪০৮ জন মৎস্যজীবীও উপকৃত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রাণিসম্পদ বিকাশ …….. দপ্তরের সহায়তায় এই প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩২০ জনের।

পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে অনাবাদী জমিতে ক্ষুদ্রসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই জমিতে রোপন করা হয়েছিল আম, কলা, পেয়ারা ও অন্যান্য ফলের গাছ। দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক উন্নয়নের জন্য রোপন করা হয়েছে শাল ও সেগুন গাছ। ক্ষুদ্রসেচের জন্য ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে পুকুর খনন করা হয়েছিল। সেই পুকুরগুলিতে এখন মাছচাষ হচ্ছে।

নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, বান্দোয়ানে ১০ জনের একটি গোষ্ঠী ৩০ হাজার কলাগাছ রোপন করেছিল। তাঁরা ইতিমধ্যে আয় করেছেন ৩ লক্ষ টাকা। ….. বাঘমুন্ডি, কাশিপুরের মতো প্রত্যন্ত এলাকাতেও একইভাবে ফলচাষের চেষ্টা হচ্ছে। আপাতত চেষ্টা হচ্ছে যাতে সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো হয়। গতবছর সেখানে কিছু পরিমাণে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছিল। তাতে লাভও হয়েছিল কৃষকদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #matir srishti project

আরো দেখুন