ভবিষ্যতে আলুর সঙ্কট তৈরি হতে পারে বাংলায়, উদ্বেগ মমতার
রাজ্যের আলু ফুরিয়ে গেলে কী করা যাবে জানি না— মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative Meeting) এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এদিন দাবি করেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের জেরে আলু–পেঁয়াজের কালোবাজারি বেড়ে যাবে।
এদিন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের নতুন আইনে কালোবাজারি বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আলু–পেঁয়াজের কালোবাজারিও বেড়ে যাবে। রাজ্যের আলু যদি ফুরিয়ে যায় তকড় কী করা যাবে জানি না।’ একইসঙ্গে এদিন বাঁকুড়ার বন দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। নথিপত্র দেখে তিনি বলেন, ‘এই জেলায় বন দফতরের কাজ ৮৭ শতাংশের বেশি বাকি রয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন যে, হাতির হানায় কেউ যদি মারা যায় তবে তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে।
মুরগির ডিম উৎপাদনে বাঁকুড়া রাজ্যে (Bankura) শীর্ষে রয়েছে বলে এক আধিকারিক জানান বৈঠকে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পোল্ট্রির পাশাপাশি হাঁসের ডিম উৎপাদনে জোর দিতে বলেছেন। পাশাপাশি জনসংযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনের অভাব–অভিযোগ শুনতে বলেছেন তিনি।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ‘ইতিমধ্যে সারা রাজ্যে নতুন আড়াই লক্ষ রাস্তা তৈরি হয়েছে।’ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি রাস্তা সারাইয়ের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এসসি, এসটি–সহ অন্যান্য জাতি শংসাপত্রের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘আবেদনকারীর পরিবারের কোনও একজনের যদি শংসাপত্র থাকে তবে তাঁকে দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র দিতে হবে। ফেলে রাখা যাবে না।’