আমিই দলের কর্মী, আমিই পর্যবেক্ষক, বাঁকুড়ায় বললেন মমতা

আমাদের সরকার মানবিক, সামাজিক সুরক্ষা দেয়। তৃণমূল দেশকে টুকরো করতে দেবে না। এখন থেকে আমি সরকার ও দল দুটোই দেখবো। আমিই কর্মী, আমিই পর্যবেক্ষক।

November 25, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আজ শুনুকপাহাড়ী ময়দানে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সকলকে দশ বছর আগের সিপিএমের ভয়াবহ সন্ত্রাসের কথা মনে করান। পাশাপাশি এই মুহূর্তে শান্ত থাকা বাঁকুড়াকে কীভাবে সিপিএম বিজেপি অশান্ত করতে চাইছে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন। আগামী দিনে একজোট হয়ে বিজেপি ও সিপিএমকে বাংলা থেকে দূর করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিহরের অত্যাচার দেখে শিহরিত হয়েছিলাম। এতো তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেলে চলবে না। মানুষ মেরে সুড়ঙ্গ দিয়ে মৃতদেহ পাচার করে দিত। এখন বাঁকুড়া, মেদিনীপুর শান্তিতে আছে বলে সিপিএম বিজেপির খুব রাগ। সিপিএমের হার্মাদরাই আজ বিজেপির হার্মাদ হয়েছে। এরা একসঙ্গে চক্রান্ত করে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে, কিছু প্রেসের মাধ্যমে গত লোকসভায় টাকা ছড়িয়ে ভোটে জিতেছে।

তিনি আরও বলেন, তৃণমূল (Trinamool) করতে গেলে, ত্যাগী হতে হবে, লোভী হলে তৃণমূল করা যাবে না। ভোটের আগে টাকা দিলে নিয়ে নেবেন, ওটা আপনাদের টাকা। কিন্তু, ওদের ভোট দেবেন না। ফ্রেট করিডর তৈরি হলে ২৫ লক্ষ চাকরি হবে বাংলার ছেলে মেয়েদের। একসময় এখানে ১৫ শতাংশ মানুষ পানীয় জল পেত। আজ ৭৫ শতাংশ মানুষ পায়। বিজেপি দেশের অভিশাপ, এদের জব্দ করতে হবে একজোট হয়ে। আমাদের সরকার মানবিক, সামাজিক সুরক্ষা দেয়। তৃণমূল দেশকে টুকরো করতে দেবে না। এখন থেকে আমি সরকার ও দল দুটোই দেখবো।

তৃণমূলের পরিকাঠামোর বিষয়ে তিনি বলেন, কারোর রিপোর্ট খারাপ হলে তাকে আমরা সরিয়ে দিই। সিপিএম লোভী, বিজেপি (BJP) ভোগী আর তৃণমূল একমাত্র ত্যাগী। তৃণমূল করতে গেলে, ত্যাগী হতে হবে। রাতের অন্ধকারে কে কার বাড়ি যাচ্ছেন, লক্ষ্য রাখুন। আমিই কর্মী, আমিই পর্যবেক্ষক।

সিপিএম (CPM) বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, সিপিএম নিজের চুরি ঢাকতে বিজেপির পায়ে ধরেছে। সিপিএম নির্লজ্জ। ভোট এলেই তৃণমূলকে সারদা নারদা নিয়ে ভয় দেখায়। ক্ষমতা থাকলে আমাকে জেলে ঢোকাক। আমি জেলে থেকে বাংলায় তৃণমূলকে জেতাব।

বিজেপির জমানায় দেশের করুন অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ৪০ শতাংশ বেকার বেড়েছে। কয়লা, রেল, বিমান সব বিক্রি করে দিয়েছে। কেন্দ্রের দু বছরের ডিএ বন্ধ, কেন্দ্রের অনেক সংস্থায় মাইনে, সাংসদদের খাতে উন্নয়নের টাকা বন্ধ। ১০০ দিনের কাজের টাকা তিনমাস পর দিচ্ছে। ওদের জমানায় সারা দেশে দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে চলেছে। বিজেপি মানুষকে ৩৬৫দিন বোকা বানায়। নতুন আইন করে মানুষের রোজের প্রয়োজনীয় আলু পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen