পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য কলকাতায় পৌঁছল ‘কো-ভ্যাকসিন’ টিকা
ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমন! গোটা দেশেই ছবিটা কার্যত এক। তবে কিছুটা হলেও বাংলায় কমছে করোনা সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতি বড় খবর বাংলার মানুষের জন্যে। রাজ্যে পৌঁছল করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)। ভারত বায়োটেকের তৈরি কো-ভ্যাকসিন (Co-Vaccine) পৌঁছল নাইসেডে।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার টিকা। যা নিঃসন্দেহে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বড় খবর। জানা যাচ্ছে, কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (Clinical Trial) ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। সেই কারণেই ১ হাজার টিকা আনা হয়েছে। আপাতত এই গুলি নাইসেডে রাখা হয়েছে।
মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কো-ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, এটা থার্ড ফেসের ট্রায়াল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে ট্রায়ালের দায়িত্ব পেয়েছে ২৪টি সংস্থা। তার মধ্যে আমরা একটা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রায়াল শুরু করে দেব।
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই নাইসেডে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে বহু মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্যে এগিয়ে আসার জন্যে ফোন করছেন বলে জানিয়েছেন শান্তা দত্ত।
তবে নাইসেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে ২১-এর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা এনআইভি এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কো-ভ্যাকসিন। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে কম করেও ২০ মার্কিন ডলার দাম হবে। ডোজ পিছু ১০ ডলার। দুবার নিতে হবে করোনার টিকা স্পুটনিক ভি ( স্পুটনিক ফাইভ)। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে এই খবর।
করোনার রুশ টিকার দুটি ডোজের ভারতীয় মুদ্রায় দাম পড়ছে হাজার টাকার একটু বেশি। মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে এই পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবেই। তবে সরকারি উদ্যোগে ভর্তুকি কতটা মিলবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।