ক্ষমতা থাকলে জেলে ভরুন, বাঁকুড়া থেকে মোদী-শাহকে আক্রমণ মমতার
বাঁকুড়ার সভা থেকে বিজেপি, বাম, কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে হারাতে তিন দল এক হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘জগাই,-মাধাই-এক হয়েছে।’ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
কয়েক দিন আগে বাঁকুড়ায় এসে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘ফাইভ স্টার হোটেলের রান্না করা খাবার নিয়ে এসে লোক দেখাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিও তো গিয়েছিলাম। আদিবাসী বাড়িতে। তাঁদের খাটিয়ায় বসেছিলাম। তাঁদের সঙ্গে কথা বললাম।’ ছবি তোলার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি বলে দাবি করেন মমতা।
বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘ওদের অনেক টাকা। ফোন করে টাকা অফার করছে।’ তার পরই তিনি সম্ভবত বিজেপির দিকে ঝুঁকে-থাকাদেরও সমালোচনা করেন। বলে দেন, ‘অনেকেই মনে করছেন, যদি বাইচান্স (বিজেপি) চলে আসে। আরে চান্সই নেই তো বাইচান্স!’ বলেন, ‘ভোট এলেই ধমাকানো, চমকানো। আমাকে জেলে ধরে দিন না। আমি জেল থেকে ভোট লড়ব। জেল থেকেই বাংলাকে জেতাব।’ আর এই প্রসঙ্গেই তিনি বিহার-ভোটের ফলাফলের দিকে আঙুল তোলেন। জানান, লালুকে তো ধরে রেখেছে। তার পরেও বিহারে বিরোধীদের লড়াইয়ের কথা বলেন। বলেন, ‘বিহারে ওটাকে জেতা বলে? ম্যানিপুলেশন করে জিতেছে।’
জনসভা থেকে নাম না করে দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। তাঁর খোঁচা, ‘কেউ কেউ বলছেন গোমূত্র খেলে করোনা হবে না। তিনি তো খেয়েছিলেন. তাহলে তাঁর কীভাবে করোনা হল?’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির গোমূত্র থেকে সোনা তৈরির মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করলেন তিনি। পুলিশের বিভিন্ন দফতরে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের হাত দিয়ে টাকা পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কৃষিবিল, ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক ইস্যুতেও সরব হয়েছেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘১০০ দিনের কর্মীরা সঠিক সময় টাকা পাচ্ছেন না। কারণ সেই টাকা সুদে খাটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র বাংলা থেকে করের টাকা নিয়ে যায়। সেই টাকাই আবার রাজ্যকে দেয়। আলাদা করে কিছুই দেয় না।’