আইটি শ্রমিকদের শোষণ বন্ধের দাবিতে মিছিল
করোনার জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) সুযোগ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সাধারণ কর্মীদের ভয়ানকভাবে শোষণ করা হচ্ছে। সরকার প্রস্তাবিত শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড, তথ্য প্রযুক্তির ছোট-বড়-মাঝারি সংস্থাগুলির বেআইনি ভাবে শ্রমিক ছাঁটাই, কর্মীদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো, ৮ ঘন্টার জায়াগায় ১৪-১৫ ঘন্টা কাজ করানো প্রভৃতি ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিলি করা হল প্রচারপত্র ও কিছু মাস্ক। এই অভিযোগে গতকাল ব্যানার, পোস্টার হাতে মিছিল করা হল পুরো সেক্টর ফাইভ (Sector Five) জুড়ে।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানান, “এই কোরোনা-লকডাউন (Corona Lockdown) পরিস্থিতির মধ্যেও বহু সাধারণ কর্মী এগিয়ে এলেন আমাদের উদ্যোগে সামিল হতে, জানালেন তাদের পরিস্থিতি, অভিযোগ এবং বেআইনি প্র্যাকটিসের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা।”
তিনি আরও বলেন, “শিল্প বিরোধ আইন, ট্রেড ইউনিয়ন আইন এবং এমন আরও চল্লিশের কাছাকাছি শ্রম আইন অনুযায়ী এতদিন শ্রমিকরা যে নিরাপত্তা পেয়ে আসছিল সেই সমস্তই আজ অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে। কারণ নতুন শ্রমবিধি। ৩০০ বা তার কম কর্মী থাকা সমস্ত সংস্থাই এখন বেশির ভাগ শ্রম আইনের আওতার বাইরে এবং এখানকার শ্রমিকরা এই আইনপ্রদত্ত নিরাপত্তার বাইরে। এই সংখ্যা আগে ছিল ১০০। স্থায়ী নিয়োগের পরিবর্তে চুক্তির (কন্ট্র্যাক্ট হায়ারিং) সুযোগ বাড়িয়ে সংস্থার লাভকেই নিশ্চিত করেছে এই নতুন শ্রমকোড। আতসকাঁচ ব্যবহার করেও এই শ্রমকোড থেকে কর্মীর সুরাহা হবে এমন নীতি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
তাঁর দাবি, বাকি চারটে শিল্পের মতো অতিমারী বা লকডাউনের ফলে আইটি, আইটিইএস বা বিপিও কেপিও শিল্প তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তো হয়ই নি, বরং বিভিন্ন নতুন ব্যবসার দ্বার খুলেছে ডিজিটালাইজেশনের হাত ধরে। তা সত্ত্বেও সরকারের তৈরী করা স্বর্ণসুযোগ ব্যবহার করে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের সমস্ত সংস্থাই গত ৬-৮ মাস ধরে নির্দ্বিধায় ছাঁটাই, মাইনে কাটা, দ্বিগুন সময় কাজ করানো এবং সর্বোপরি প্রতিবাদ করলে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে। অসংখ্য শ্রমিককে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে শেষ ২ কোয়ার্টারে এই সংস্থাগুলোর কন্ট্র্যাক্ট হায়ারিং অনেকখানি বেড়েছে। কোম্পানির নিজেদের দাখিল করা রিপোর্ট অনুযায়ীই এদের লাভ/আয়ও ঊর্ধ্বমুখী।