এবার পুকুরেই বোরোলি চাষ

তিস্তায় শুখা মরশুমে জল কমার ফলে দেখা মিলছে খুব কম সংখ্যক বোরোলির (Boroli)। গত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জুবিলি পার্কের সামনে থেকে তিস্তা-করলার মোহনা পর্যন্ত জলের দেখা মিলছে না। কোচবিহারের পর এবার বোরোলি মাছ বাঁচাতে জলপাইগুড়ি জেলাতেও পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে সুস্বাদু বোরোলি মাছের কৃত্রিম প্রজনের উদ্যোগ নিল মৎস্য দপ্তর(Fishery Department)।
জলপাইগুড়ি জেলার মৎস্য দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা জানান, তিস্তার বহু জায়গায় জল না থাকায় বোরোলির দেখা মিলছে না। অনেক মৎস্যজীবী ঘন বুনোটের জাল দিয়ে মাছ ধরে। ফলে বোরোলি মাছ আর বাড়ছে না। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এর ফলে অন্য মাছকে বোরোলি মাছ হিসেবে বিক্রি করছেন। এই দুই ধরণের প্রবণতার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে ডিসেম্বর মাছ থেকে অতর্কিতে বাজারগুলিতে অভিযান চালানো হবে।
তাই, দপ্তর ঠিক করেছে নদীর পাশাপাশি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুকুরে কৃত্রিমভাবে বোরোলি মাছের প্রজনন ঘটানো হবে। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে পুকুরে বোরোলি চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে। এভাবে বোরোলি মাছের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব। জলপাইগুড়ি জেলায় শীঘ্রই পুকুরে বোরোলি চাষকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে।