আসে-যায় বিশ্ব এডস দিবস, কিন্তু কতটা সচেতন সাধারণ মানুষ?
পয়লা ডিসেম্বর। বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day)। দিন পালনের অন্যথা হয়নি এবারও। সচেতনতা নিঃসন্দেহে বেড়েছে। কিন্তু লড়াই শেষের এখনও অনেক দূর। ইউনিসেফের দাবি, ভারতে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লক্ষ। এর মধ্যে গতবছর এইডস আক্রান্ত হয়েছেন, ৮৮ হাজার।
ঘটা করে পালন হয় বিশ্ব এইডস দিবস। ভারতও সেই ‘মিছিলে’ অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এই উদযাপনেও বেড়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ সামনে আসছে ইউনিসেফের খতিয়ান। আন্তর্জাতিক সংস্থার দাবি, ভারতে বর্তমানে এইডস ২১ লক্ষ এইডস (AIDS) আক্রান্ত রয়েছেন। এত সচেতনতা প্রচার, উদ্যোগ সত্ত্বেও গত বছর নতুন করে ৮৮ হাজার জন এইডস আক্রান্ত হয়েছেন। ১ লক্ষ ২০ হাজার শিশুর শরীরে এইডসের ভাইরাস। যা দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য দেশগুলির থেকে অনেক বেশি। যদিও দক্ষিণ এশিয়া এইডস বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই সফল।
ইউনিসেফ (UNICEF) আরও জানাচ্ছে, আরও যদি তত্পর না হওয়া যায়, তাহলে ২০৩০ সালে গোটা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের মৃত্যু হবে এইডসে। তবে সার্বিক ভাবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অবশ্যই কমেছে। কিন্তু তা প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়। আরও তত্পরতার প্রয়োজন বলে মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ।
সরকারি ও বেসরকারি স্তরে বিভিন্ন সংগঠন সচেতনতা প্রচার করেছে, করছেও। কিন্তু এখনও অনেক আক্রান্তেরই চিকিত্সা ঠিকমতো হচ্ছে না। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৩ লক্ষ। যদিও ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (NACO) দাবি, এইডসের প্রাদুর্ভাব এদেশে আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। কিন্তু এখনও মানসিকতায় সমস্যা রয়ে গিয়েছে। চিকিত্সার সঙ্গে দরকার যত্ন। সেই যত্নের অভাব এখনও থেকে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় বাংলা ভালো কাজ করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) । ন্যাকোর এইডস নিরোধক প্রকল্পে দেশের মধ্যে বাংলাই এক নম্বর বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রকল্পে উপকৃত, রাজ্যের প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা।