আবার অপমানিত রাজ্যপাল, ভ্যাকসিন নিতে দিল না নাইসেড
বুধবার থেকে শুরু হল রাজ্যে করোনা টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল৷ হাজার জনের দেহে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে৷ প্রথম ডোজের স্বেচ্ছাসেবক প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ এদিকে, এদিন ট্রায়াল পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ভ্যাকসিন নিতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ৷ যদিও তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল নাইসেড৷
কেন রাজ্যপালেন আবেদন ফেরাল নাইসেড?
এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নাইসেডের (NICED) প্রধান শান্তা দত্ত বলেন, ‘আমাদের মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়রা আমায় ফোন করে ভ্যাকসিনের স্বোচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন৷ তবে ওঁনার একাধিক কোমর্বিডিটি রয়েছে৷ পাশাপাশি বয়স হয়েছে তাঁর৷ এই মর্মে ওঁর ব্যাক্তিগত চিকিৎসকও যোগাযোগ করছেন আমাদের সঙ্গে৷ এই ভ্যাকসিনে কোনও ক্ষতি হবে না৷ কিন্ত্ত তা সত্ত্বেও নিরাপদ এবং সতর্ক থাকার জন্য আমরা তাঁর ওপর প্রয়োগ না করার কথা জানিয়েছি৷’ ৬৯ বছর বয়সী রাজ্যপালের শিশুসুলভ আবেদনে যে চিকিৎসামহল সাড়া দিতে নারাজ তা স্পষ্ট করে দেয় নাইসেড কর্তৃপক্ষ৷
এদিকে, ভ্যাকসিন ট্রায়ালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল৷ (Jagdeep Dhankhar) এদিন নাইসেডে মোকাবিলার সরঞ্জাম দুর্নীতি নিয়ে সরব হন জগদীপ ধনখড়৷ তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, ‘করোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্য যা জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে, সেই স্তরেও দুর্নীতি ঢুকে পডে়ছে৷ আবার সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে তদন্ত টিম গঠন করেছে রাজ্য৷ কিন্ত্ত, কারা সেই তদন্ত টিমের সদস্য? কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তার কোনও স্পষ্ট রিপোর্ট নেই৷ চিকিৎসা সামগ্রী কেনার দায়িত্ব ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কমিটির হাতে৷ সেই কমিটিই দুর্নীতি করছে৷ আমি এই বিষয়ে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি৷ কিন্ত্ত কোনও যোগাযোগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী৷’ পাশাপাশি, তিনি বিশ্বজুডে় করোনার প্রভাব সামাল দিতে কেন্দ্রের আয়ূষমান ভারত প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে৷’
অন্যদিকে, নাইসেড সূত্রে জানা গিয়েছে, নথিভুক্ত করা নাম অনুযায়ী নইসেডে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে আসা হবে৷ তাঁদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ১০ কিলোমিটারের মধ্যে৷ ইতিমধ্যে ৩৫০টি আবেদন জমা পডে়ছে৷ কিন্ত্ত সকলকেই দেওয়া হবে এমনটা নয়৷ একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আবেদনকারীদের৷ তারপর, রিপোর্ট এলে তাদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন৷ ৩ মাসের মধ্যে ১০০০ জনের শরীরে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলবে৷