দেশ বিভাগে ফিরে যান

কৃষকদের দাবি না মানলে ইস্তফার হুমকি হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রীর

December 3, 2020 | 2 min read

দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জোটের বড় শরিক বিজেপির উপর চাপ বাড়াল জননায়ক জনতা পার্টি। হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী JJP বুধবার এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে। জননায়ক জনতা পার্টির প্রধান দুষ্যন্ত চৌটালা (Dushyant Chautala) বর্তমানে হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। JJP-র মুখপাত্র হুমকির সুরে জানান, কৃষকদের অর্জিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) নিশ্চিত না হলে, চৌটালা উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। জেজেপি’র বক্তব্য, MSP-র কারণে কৃষকদের ভোগান্তি হলে, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যত দ্রুত সম্ভব কৃষকদের দাবি পূরণ করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে দুষ্যন্ত চৌটালার দল।

জেজেপি’র জাতীয় মুখপাত্র প্রতীক সোম সংবাদ সংস্থাকে বলেন, জননায়ক জনতা পার্টি সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছে। এমএসপি’র কারণে কৃষককে ভুগতে হলে, সর্বপ্রথম যে মানুষটি ইস্তফা দেবেন তিনি হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা।

কেন্দ্রের উদ্দেশে হরিয়ানার এই শরিকের আর্জি, কৃষকদের দাবিদাওয়া বিবেচনা করুন। এমএসপি নিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়াটা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমরা আশারাখি, কেন্দ্র কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এর একটা বিহিত খুঁজবে যাতে অচলাবস্থা কাটে।

ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দফায় বৈঠক রয়েছে। এর আগে ১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষক নেতাদের একপ্রস্থ বৈঠক হয়। যদিও সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।

জেজেপির জাতীয় সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ অজয় সিং চৌটালা কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেন, ‘MSP নিয়ে নতুন একটি আইন আনুন।’ তাঁর বিবৃতি, আন্দোলনরত কৃষকদের দাবিদাওয়া বিবেচনা করে, কেন্দ্র একটা সুরাহার পথ সন্ধান করুক। যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রকে কৃষকদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আইনে কেন্দ্র এমএসপির বিষয়টি নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

হরিয়ানায় বিজেপিকে সরকার গড়ার জন্য সমর্থন করে জেজেপি। জাঠ ও কৃষকদের বৃহত্‍‌ অংশের সমর্থন রয়েছে জেজেপির সঙ্গে। ফলে, কৃষক স্বার্থের বিরোধী কিছু হলে, নৈতিক ভাবে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা চৌটালার জন্য অস্বস্তির। তাই ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে, কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Protest) বৃহস্পতিবার আট দিনে পড়ল। দিল্লির একাধিক বর্ডার পয়েন্ট পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর রাজপথে। বাড়ছে ভোগান্তিও। কৃষকরা ঘোষণা করেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। বিক্ষোভ দমনে সরকার যদি ১৪৪ ধারা জারি করে, তারা ২৪৮ ধারা প্রয়োগ করবে। যার অর্থ, বিক্ষোভের মাত্রা দ্বিগুণ হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farmers' protest, #Dushyant Chautala

আরো দেখুন