আবারও কৃষকদের পাশে নেমে আন্দোলনের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভোটাভুটি না করিয়ে, টিভিতে সম্প্রচার বন্ধ করে কৃষক বিরোধী কৃষি বিল পাসের প্রতিবাদ করে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কৃত হন তৃণমূল সাংসদরা। এরপর তৃণমূলের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে নেমে এসেছে হাহাকার। পাশাপাশি সমস্ত অত্যাবশ্যক পণ্যের দাম বেড়েছে হুহু করে। নাজেহাল সাধারণ মানুষও। রাজ্যের হাত থেকে দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ফলে তারাও কিছু করতে পারছে না। এই নিয়ে এনডিএর অনেক শরিক দল এনডিএ থেকে সরে গেছে।
দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানায় গত সপ্তাহ থেকে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেখানেও পুলিশ অকথ্য অত্যাচার করছে অবস্থানরতদের। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিজেপি আইটি সেলের মাধ্যমে ফেক নিউজ আর ভিডিও ছড়িয়ে কৃষকদের দেগে দেওয়া হচ্ছে খালিস্তানি ও পকিস্তানি মদতপুষ্ট দেশদ্রোহী হিসেবে। সরকারের জেদের জন্য ব্যর্থ হচ্ছে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক। এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের পাশে থাকার এবং প্রয়োজনে দিল্লি চলো অভিযানে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আজ আবারও তিনি সেই একই বার্তা দিলেন। শুধু কৃষি বিল না, কেন্দ্রের আনা বিভিন্ন জনবিরোধী বিলের প্রতিবাদ করেন তিনি।
তিনি ট্যুইটে লেখেন, আমি আমাদের দেশের কৃষকদের জীবন ও জীবনযাত্রার সঙ্গে আত্মিকভাবে জড়িয়ে আছি। সরকারের উচিৎ এই কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া। সরকার এই বিল প্রত্যাহার না করলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে প্রতিবাদ করব। প্রথম থেকেই আমরা এই বিলের প্রতিবাদ করে আসছি।
তিনি আরও লেখেন, আগামী শুক্রবার, ৪ঠা ডিসেম্বর এই নিয়ে আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক বৈঠক ডেকেছি। আমরা আলোচনা করব কীভাবে এই অত্যাবশ্যক পণ্য আইন সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে এবং লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি করছে। এই জনবিরোধী আইন সরকারের প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিৎ।
থ্রেডের তৃতীয় ট্যুইটে তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা, বিএসএনএল, ব্যাঙ্ক, প্রতিরক্ষা, ভেল বিক্রি করে দিতে পারেনা। এই সমস্ত বিলগ্নীকরণ এবং বেসরকারিকরণ নীতি প্রত্যাহার করুক সরকার। দেশের সমস্ত সম্পদ বিজেপির নিজস্ব সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হওয়া আমরা মেনে নেব না।