স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

শরীরে অবাঞ্ছিত লোম হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার নয় 

December 4, 2020 | < 1 min read

হঠাৎ কোনো নারীর নাকের নিচে গোঁফের রেখা দেখা দিলে তা যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি দুশ্চিন্তার বিষয়ও বটে। খুবই সামান্য পরিমাণে, হালকা রঙের অল্প কিছু চিকন লোম যদি ঠোঁটের ওপরের অংশে কিংবা থুতনির দিকে থাকে, এতে ভয়ের কিছু নেই। যদি এসব স্থানে মাথার চুলের মতো গাঢ় রঙের চুল গজাতে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মেয়েদের ঠোঁটের ওপর এবং থুতনিতে চুল গজানো ছাড়াও তলপেটে বা বুকে চুল গজানো শুরু হতে পারে। এর পাশাপাশি কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যাওয়া, মাসিকে অনিয়ম এবং মাথার সামনের অংশে দুপাশের চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ব্রণ, মুখ ও শরীর ফুলে যাওয়া—এসব লক্ষণ অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের সঙ্গে দেখা দিলে হরমোনের তারতম্যজনিত সমস্যার কথা ভাবতে হবে। 

এ ধরনের হরমোনের সমস্যার নেপথ্যে থাকে নানান কারণ, যেমন: ডিম্বাশয়ের কোনো রোগ বা কোনো গ্রন্থির টিউমার। আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও এমন হতে পারে। সমস্যাটা পারিবারিকও হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় এমন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

চিকিৎসা করালে সমস্যা সেরে যায়। রোগ নির্ণয়ের আগে লোমনাশী ক্রিম লাগিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে লোম তুলে ফেলার চেষ্টা করা ঠিক নয়। আগে কারণ জানতে হবে, চিকিৎসা পরে। 

অন্যান্য কিছু কারণেও নারীর শরীরে বাড়তি লোম দেখা দেয়। যেমন: কারও দু চোখের মাঝামাঝি ভ্রু একটু বেশি ঘন। আবার কারও কপাল, কপালের পাশে বা গালের পাশ দিয়ে, হাত-পায়ে কিছু বাড়তি লোম থাকে। এসব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। তবে শরীরে পুরুষদের মতো লোম গজালে এবং সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Health Tips

আরো দেখুন