‘বঙ্গধ্বনি-র জোরদার প্রচারে পথে নামছে তৃণমূল
কোভিড পরিস্থিতিতেও বাংলার ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে উৎসবের আনন্দ থেকে বিরত রাখতে চাননি তিনি রাজ্যের মানুষকে। মানুষের এই আনন্দের কথা ভেবে উৎসবের আবহে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও স্থগিত রেখেছিলেন কিছু দিনের জন্য। তবে আর নয়। মাস কয়েকের মধ্যে বিধানসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকে মাথায় রেখে উৎসব কাটতেই ফের গোটা দলকে নিয়ে বাংলা জুড়ে দলীয় প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল মাঠে-ময়দানে সেভাবে নামার আগেই তিনি এক টানা জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে দলকে একেবারে তৃণমূল স্তরে মানুষের কাছে পাঠাতে চাইছেন এই লক্ষ্যে। এজন্য ‘বঙ্গধ্বনি’ নাম দিয়ে এক বিরাট কর্মসূচির পরিকল্পনাও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল (Trinamool) সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা করার কথা মমতার। সেই মতো সাংগঠনিক প্রস্তুতি এখন জোর কদমে চলছে। প্রত্যাশা মোতাবেক পূর্বের ‘দিদিকে বলো’ এবং ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র মতো ‘বঙ্গধ্বনি’ (Bangadhoni) কর্মসূচিকেও পুরোপুরি পেশাদারি ঢঙে সফল করে তুলতে আসরে নেমেছে তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাক। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার প্রশান্ত কিশোর নিজে তার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন। ভোটের মাস কয়েক আগে এই বঙ্গধ্বনি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ঠিক কী? কারা, কীভাবে তার সফল রূপায়ণ সম্ভব করে তুলবে? এসব বিষয় নিয়ে এখন চূড়ান্ত পরিকল্পনা চলছে পিকের টিমের সঙ্গে তৃণমূলের নেতৃত্বের।