তৃণমূল বিধায়ক খুনে মুকুল রায়ের নামে চার্জশিট সিআইডির
কৃষ্ণগঞ্জের (Krishnaganj) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের (Satyajit Biswas) খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মুকুল রায়কে অভিযুক্ত করল সিআইডি (CID)৷ এ দিনই রানাঘাট আদালতে এই মামলায় দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি৷ সেই চার্জশিটেই মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নাম রয়েছে বিজেপি নেতার৷
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে নিজের বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস৷ এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে৷ তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়৷ ২০১৯ সালের মে মাসে এই মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি৷ তাতে ধৃত তিন জন ছাড়াও আরও এক অভিযুক্তকে পলাতক হিসেবে দেখানো হয়েছিল৷
এর পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি৷ সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম উঠে আসে৷ অভিযোগ করা হয়, খুনের আগে আততায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বিজেপি সাংসদের৷ চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আরও একজন রাজনৈতিক নেতা জড়িত থাকতে পারেন৷ এর পর এ দিন রানাঘাট আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল সিআইডি৷ সূত্রের খবর, সেখানে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মুকুলের নাম মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি) এবং খুনের ধারায় (৩০২) অভিযোগ আনা হয়েছে৷ চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক খুনে জড়িত আততায়ীদের সঙ্গে খুনের আগে এবং পরে যোগাযোগ ছিল মুকুল রায়ের৷ তাদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ থেকে খুনের পর পালিয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে সিআইডি৷
যদিও চার্জশিটে নিজের নাম থাকা নিয়ে বিচলিত নন বিজেপি নেতা৷ মুকুল রায় এ দিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা রয়েছে৷ আমি চিন্তিত নই৷ আইনের শাসনে আস্থা আছে, আইনের পথেই লড়ে নেব৷ চার্জশিটে নাম দিচ্ছে কে? দফতরের মন্ত্রী কে? তাকেই গিয়ে প্রশ্ন করুন৷ ‘