বিজেপি এলে আপনাদের জমি কারখানা আর আপনাদের থাকবে নাঃ ব্রাত্য

সুজিতবাবু বলেন, বাংলায় যিনি দিশা দেখাচ্ছেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে আগামী মে মাসে এই সরকার দশ বছর পূর্ণ হবে। ওই মাসেই মমতার নেতৃত্বে বাংলায় তৃতীয় সরকার শপথ নেবে।

December 6, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনমুখী প্রকল্পকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। এই ভয় থেকেই বিজেপি রাজ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জনসংযোগ উপলক্ষে নন্দকুমারে খঞ্চি হাইস্কুল ময়দানে এক সভায় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu) এই মন্তব্য করেন। এদিনের সভায় মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন (Shantanu Sen) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে-র আয়োজনে এদিনের সভায় ব্যাপক ভিড় হয়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দকুমার ব্লকেও সভাপতি পদে বদলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হবেন বলে জনসভায় ঘোষণা করেন স্থানীয় বিধায়ক।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের অনেক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। দুয়ারে দুয়ারে সেইসব স্কিম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর ভোট আসতেই বিজেপি এসব থেকে নজর ঘোরাতে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ এই বিজেপি লোকসভা ভোটের সময় বছরে দু’কোটি বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। কারও অ্যাকাউন্টে এক টাকাও দিতে পারেনি। দু’কোটি বেকারের চাকরি হয়নি, উল্টে চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ। ভোট আসতেই তারা বলছে, সোনার বাংলা তৈরি করবে। সোনার বাংলা তৈরি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সুজিতবাবু আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। আজ পর্যন্ত কোনও রাজ্য সরকার এই ধরনের পরিকল্পনা নিতে পারেনি। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে একটা বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে দিল্লিতে। মানুষে মানুষে বিভাজন করছে বিজেপি। এরকম একটা দলকে পিছন থেকে কেউ কেউ মদত দিচ্ছেন। আমরা বলছি, এতে কোনও লাভ হবে না। বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি নষ্ট করার পরিকল্পনা কখনও সফল হবে না। বাংলা কখনও গুজরাত হবে না। বাংলা তার নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়েই থাকবে। আর বলি, মেঘ যত গর্জায় তত বর্ষায় না। বাংলার সংস্কৃতি কখনও কুকথাকে সমর্থন করে না। বাংলা কারও কাছে মাথা নত করে না। 


মন্ত্রী ব্রাত্যবাবু বলেন, গত ১ডিসেম্বর থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ নামে একটা ঐতিহাসিক প্রোগ্রাম নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে অনেকের ঠিকমতো ধারণা নেই। সরকারের জনমুখী স্কিমকে রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে এই কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৪টা প্রকল্প চালু করেছেন। বিজেপি এলে এসব প্রকল্প থাকবে না। আপনাদের জমি নিজের থাকবে না। আপনার কারখানা আপনার থাকবে না। দিল্লির রাস্তায় এখন লক্ষ লক্ষ চাষি বসে আছেন। বিজেপি কৃষক স্বার্থবিরোধী আইন চালু করতে চাইছে। সেজন্য কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিজেপি আজ সব বিক্রি করে দিচ্ছে। রেল, গেইল, বিমা এবং সার্ভিস সেক্টরেও বেসরকারিকরণ করছে। 


তিনি আরও বলেন, বিজেপির এখন তৃণমূল ছাড়া চলছে না। দিল্লির নেতারা রাজ্যে এসে এখানকার নেতাদের বলছেন, ‘তোমরা অপদার্থ। তৃণমূল থেকে লোক চাই’। আগামী বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শপথ নেবেন, তখন এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের অনেকেই বর্ডারে গিয়ে গরু চরাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen