সাম্প্রদায়িকতায় নয়, উন্নয়নেই থাকবে বাংলা, বললেন ফিরহাদ
সাম্প্রদায়িকতায় নয়, উন্নয়নেই থাকবে বাংলার মানুষ। উন্নয়নই হবে বাংলার রায়। একদল হায়দরাবাদ থেকে এসেছে বাংলায়, সঙ্গে আছে ভাইজান। বিজেপির মত এরাও সাম্প্রদায়িক। ভোট ভাঙার জন্য এসেছে। ১৪৮ হলে তবে সরকার গড়া যায়। এদের সেই ক্ষমতা নেই। ভোটের পর কেউ হায়দরবাদে চলে যাবে, কেউ ঘরে ঢুকে যাবে। বিহারের মত ভোট কেটে এরা বিজেপির সুবিধা করে দিতে চায়। কিন্তু, রাজনীতিতে মানুষই শেষ কথা। তাই মানুষের সেবা করতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে থাকতে হবে। রবিবার দুপুরে বারুইপুরের নিউ ইন্ডিয়ান মাঠে জনসভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিনের সভায় ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, প্রতিমা মণ্ডল, শুভাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক নির্মল মণ্ডল প্রমুখ। এদিন পুরমন্ত্রী বিজেপির (BJP) সমালোচনা করে বলেন, বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না। গুজরাতের কৃষকদের কোনও আন্দোলন করতে দেওয়া হয় না, দমিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এই রাজ্যে কৃষকদের আন্দোলন হয়েছিল বলেই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম তৈরি হয়েছিল। অমিত শাহের নাম না করে তাঁকে চম্বলের ডাকাত বলে মন্ত্রী বলেন, চম্বলের ডাকাত নাকি ঠিক করবে বাংলার মানুষ কাকে ভোট দেবে!
সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম না নিয়ে তাঁকে নিশানা করে ফিরহা (Firhad Hakim)দ বলেন, সাড়ে চার বছর মন্ত্রী থাকার সময়ে কারও মনে হয়নি তিনি সন্মান পাচ্ছেন না। ভোটের আগে বিজেপির লোকেরা কানে কানে এসে বলার পর সেই কথা মনে হল! মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য তৃণমূল করি আমরা। তার জন্য কী পেলাম, সেটা ভাবি না। এদিন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বলেন, মঞ্চ এমনই এক জিনিস যে সেখানে আসার জন্য কাঠখড় পোড়াতে হয়। মাইক হল অস্ত্র। যার মাধ্যমে আওয়াজ মানুষের কানে যাবে। সন্মান করলে সন্মান পাওয়া যায়। বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাম-রহিম দিয়ে ভোট হয় না। দলিতের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে প্রচার চালিয়ে আবার দলিতের মেয়েকেই পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।