উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কর আদায়ে পুরসভার গাফিলতি মেনে নিলেন অশোক

December 8, 2020 | 2 min read

করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন চলাকালীন ট্যাক্স আদায়ে ভাটা পড়েছিল শিলিগুড়ি পুরসভার। আনলক (Unlock) পর্বে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই পুর কর্তৃপক্ষ বকেয়া কর আদায় শুরু করে। আসলে সম্পত্তিকর সংগ্রহ কমে যাওয়ায় পুরসভার আয় কার্যত তলানিতে এসে পৌঁছেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা। এবার ৫ কোটি টাকার মতো আয় কম হয়েছে। কেন আদায় কম? এব্যাপারে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya) ট্যাক্স কালেক্টরদের গড়িমসিকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ট্যাক্স কালেক্টরদের অনীহার জেরেই কর আদায়ের কাজ ঢিমেতালে চলছে।

এ ক্ষেত্রে অফলাইনের পরিবর্তে অনলাইন মাধ্যমে কর আদায়ের কাজ শুরু হলে সমস্যা মিটবে বলে অশোকবাবুর দাবি। যদিও অনলাইন প্রক্রিয়া চালু না হওয়ার জন্য প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পুর প্রশাসকের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুরসভার বিরোধী ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের প্রধান রঞ্জন সরকার। তাঁর পাল্টা দাবি, ওঁরই কাজ করার সদিচ্ছা নেই। তারই ফল এসব।

করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) মোকাবিলায় দেশজুড়ে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে লকডাউন চালু হতেই শিলিগুড়ি পুরসভার কর আদায়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ৩১ মে পর্যন্ত টানা ৬৮টি দিন লকডাউন চলে। ১ জুন থেকে আনলক পর্ব শুরু হয়। ওই সময় থেকে কর আদায়ের কাজ শুরু করে পুরসভা। তবে করোনা পরিস্থিতির আগে কর আদায় যে গতিতে হতো, সেই গতি এখন নেই বলেই অভিযোগ। পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছরে কর আদায়ের পরিমাণ বিগত বছর অপেক্ষা প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে। অশোকবাবু বলেন, অনেকক্ষেত্রেই ট্যাক্স কালেক্টরদের কাজে গাফিলতি ধরা পড়েছে। বহুক্ষেত্রে ট্যাক্স কালেক্টরদের একাংশের বিরুদ্ধে দেরিতে অফিসে টাকা জমা দেওয়া, এমনকী টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আছে। বিষয়টি দেখার জন্য পুর কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর আদায়ের কাজ যাতে ত্বরান্বিত হয়, কমিশনারকে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। অশোকবাবু আরও বলেন, বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উপর যাতে চাপ না পড়ে, সেজন্য বকেয়া করের সুদ কমানোর জন্য রাজ্যকে আমরা আবেদন করেছিলাম। রাজ্যের তরফে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলের নেতা রঞ্জন সরকার বলেন, অশোকবাবু সবসময়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। পাঁচবছর বোর্ডে থেকে কোনও কাজ করেননি। আসলে ওঁর কাজ করার কোনও সদিচ্ছা নেই। ভিত্তিহীন কিছু মন্তব্য করাই ওনার কাজ।

লকডাউন পর্ব থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় আটমাস সময়ে পুরসভার আয় তলানিতে ঠেকেছে। বিগত বছরের তুলনায় কর আদায়ে পুরসভা আয়ের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ কোটি টাকা এখনও পিছিয়ে আছে। সেই ক্ষেত্রে আয় বাড়াতে বিশেষ চিন্তাভাবনা করতে চলেছে পুরসভা। পুরসভা জানিয়েছে, আগামী বোর্ড মিটিংয়ে কর আদায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়ার ব্যাপারে সদস্যদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে বাকি কর আদায়ের উপর জোর দেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#siliguri, #Ashok Bhattacharya

আরো দেখুন