উৎকৃষ্ট অর্কিড সরবরাহের কৃতিত্ব রাজ্যের
শুধু অর্কিড নয়, পলি হাউসের মাধ্যমে ফুল চাষের প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফল চাষের প্রসারও ঘটানো হচ্ছে।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের অর্কিড সরবরাহ করার কৃতিত্ব অর্জন করল পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের সহায়তায় বেসরকারি উদ্যোগে জলপাইগুড়ি জেলার জটিয়াকালীতে এই সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আট হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অর্কিডের চাষ হচ্ছে। থাইল্যান্ড এবং তাইওয়ান থেকে অর্কিডের চারা আনা হয়েছে। অর্কিডের ব্যবসায় যথেষ্ট লাভ হচ্ছে।
রাজ্য সরকার অর্কিড চাষে আরও প্রসার ও প্রচার চায়। সম্প্রতি জটিয়াকালীর অর্কিড নার্সারি (orchids) পরিদর্শন করে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত সরকারি এই অবস্থানের কথা জানান। জটিয়াকালী কেন্দ্র থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও ভিনরাজ্যে অর্কিডের চারা সরবরাহ হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে অর্কিডের বাজার যথেষ্ট ভালো। শুধু অর্কিড নয়, পলি হাউসের মাধ্যমে ফুল চাষের প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফল চাষের প্রসারও ঘটানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানান, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বেরুবাড়ির খয়েরবাড়ি গ্রামে ১০টি পলি হাউসে ফুল চাষ হচ্ছে। এখানকার জারবেরা ফুল প্রথমে গুয়াহাটিতে বিপণন হত। বর্তমানে এই ফুলের চাহিদা এতই যে শিলিগুড়িতে সরবরাহ করার পর গুয়াহাটিতে জারবেরা ফুল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি জারবেরা ফুল গড়ে ছয় টাকা থেকে আট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও ১০টি পলি হাউসে ফুল এবং ফল চাষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পলি হাউস নির্মাণের ৫০ শতাংশ অর্থ হর্টিকালচার দপ্তর চাষিকে অনুদান হিসাবে দেয়।
তিনি আরও জানান, উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তাঁরা ব্রকোলি, লেটুস, বেল পেপার ও অন্য সবজির চাষ করবেন। এই চাষ যথেষ্ট লাভজনক। জারবেরা ফুলের চাষও লাভজনক। এই চাষের প্রসার জলপাইগুড়ি জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও করা হবে। এই চাষ কর্মসংস্থানে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। প্রথাগত চাষের বৃত্তের বাইরে এসে খয়েবাড়ি গ্রামের চাষিরা ফুল চাষ করে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হয়।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আরও জানান, খয়েবাড়ির প্রগতিশীল চাষিদের নিয়ে প্রয়োজন বোধে অন্যান্য জেলায় তাঁরা চাষিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে জারবেরা ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করবেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানান, মোহিতনগরে দুটি ফার্ম রয়েছে। একটি ফার্মের জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই ফার্মে তাঁরা ফলের চারা উৎপাদনকেন্দ্র করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।