রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন চলছে, চলবে: তৃণমূল

December 9, 2020 | 2 min read

কৃষক স্বার্থে আন্দোলনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল তৃণমূল (Trinamool)। কৃষি সরঞ্জাম, ফসল নিয়ে কলকাতার রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল রাজ্যের শাসক দল।

মঙ্গলবার থেকে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তিনদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূলের কিষাণ খেতমজদুর শাখা। কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি তোলা হল এই মঞ্চ থেকে। প্রতিবাদেও ছিল নতুন আঙ্গিক। কলকাতার রাজপথে ট্রাক্টর রেখে কৃষকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হল। তাতে দেখা গিয়েছে, ট্রাক্টরের উপর গালে হাত দিয়ে বসে আছেন এক কৃষক (Farmers)। দুশ্চিন্তার ছাপ তাঁর চোখে মুখে। কলকাতার রাস্তায় ধান রেখে কৃষকরা বার্তা দিচ্ছেন, অবিলম্বে কৃষি আইন বাতিল না-করলে তাঁদের জীবনে চরম দুরবস্থা নেমে আসবে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আলু, পেঁয়াজ-সহ শাক-সব্জি রেখে তৃণমূল বলেছে, কৃষকরা হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। অথচ তাঁদের দিকে বিন্দুমাত্র দৃষ্টি নেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। কৃষকদের দুরবস্থার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের স্বার্থে তৃণমূল লাগাতার আন্দোলন চালাবে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব। ধান দিয়ে লিখে তৃণমূল বলেছে, এই আন্দোলন চলছে, চলবে।

এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অশোক দেব, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির হল কৃষক মেরে কৃষক প্রেম। এই আন্দোলনে কৃষকরা জয় পাবেনই। পাশাপাশি শোভনদেববাবু বলেছেন, বাংলার কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়েছে। কৃষকদের আয় তিনগুণ হয়েছে। অথচ দেশের সরকার কৃষকদের উন্নয়নে নজর দিচ্ছে না। এদিন বেহালায় দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কৃষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি থেকে তৃণমূল সরছে না। তাঁদের পাশে আছে এবং থাকবে। এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলেরর তরফে এদিন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কৃষক স্বার্থে বন্‌ধকে (Bharat Bandh) সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#trinamool, #Farmers' protest

আরো দেখুন