← রাজ্য বিভাগে ফিরে যান
করোনা রুখতে মমতার একগুচ্ছ পরিকল্পনা, গাঁটছড়া বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও
করোনার সংক্রমণ রুখতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বেসরকারি হাসপাতালগুলিই নয় বৈঠকে হাজির ছিলেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রণনীতি ঠিক করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
কলকাতার বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর ঘোষণা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে থেকে পুলিশ নানান ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় কর্মরত কর্মী পিছু ১৫ এপ্রিল অবধি বীমা ঘোষাণার পাশাপাশিই আগামী দিনে এই মারণ ভাইরাস রুখতে রাজ্য সরকারে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেগুলিই দেখে নেওয়া যাক:
- এই অল্প সময়ের মধ্যে জরুরী তলব করার জন্য দুঃখিত, এখন পরিস্থিতি সেরকম
- সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রকে একসঙ্গে লড়তে হবে
- আইসিএমআর নির্দেশিকা এখনও আসেনি। ওটা এলেই আমরা কাজ শুরু করবো সেইমত
- সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় রাখতে একই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরী করুন
- বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে রাজারহাটের নতুন ক্যান্সার হাসপাতালে বাকি কাজ হবে
- পরিছন্ন অ্যাম্বুলেন্স তৈরী থাকবে আইডি হাসপাতালে ও অন্যান্য হাসপাতালে যাতে রোগীদের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়
- এটা নিজেদের মধ্যে লড়াই করার সময় না
- আইডি ও অন্যান্য হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আইডিতে ১০০, এম আর বাঙ্গুরে ১৫০, আরজিকরেও শয্যা চালু করা হবে। আরজিকরে নাইট শেল্টার ওয়ার্ড ৫০ শয্যার করা হবে অস্থায়ী ভাবে
- বেলেঘাটার কাছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেশন সুবিধেসহ আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরী করতে হবে। এখন পর্যন্ত ৩০০ যন্ত্রের চাহিদা জমা পড়েছে
- আতঙ্কের কারণ নেই। মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই আমরা প্রস্তুত আছি
- এটা লাভ ক্ষতি দেখার সময় না। মজুত করা ও কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবেনা
- ২ লক্ষ মাস্ক ও ৩০ হাজার গ্লাভসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ গাউনের ওর্ডারও দেওয়া হয়েছে।
- বেসরকারি হাসপাতালেও পরিকাঠামো তৈরী করতে হবে
- রোগীকে পরিষেবা দিতে হবে, ফেরালে চলবে না
- যারা গুজব ছড়াচ্ছে ও মাল মজুত করছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বলবো ব্যবস্থা নিতে
- আমাদের দিনরাত লড়তে হবে এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে
- কেন্দ্রীয় সরকারের কীট এখনও এসে পৌঁছয়নি। কেন্দ্রকে বলব এগুলো পাঠানোর পাশে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে গবেষণাগার তৈরী করতে
- বেসরকারি সংস্থা করোনা রুখতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে পারে
- বাজার ও দোকান খোলা রাখতে হবে
- আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বারগুলিতেসমানে নজরদারি চালাতে হবে
- যারা মাস্ক চাইবেন, তাঁদের দিতে হবে। তাই, আরও দু লক্ষ মাস্কের ওর্ডার দিন
- ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানদের অনুরোধ করবো সপ্তাহের শেষেও কাজ করতে
- মেডিকা, আর এন টেগোর পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরী করবেম বেল ভিউতে ৮ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে, প্রয়োজনে আরও ১২ শয্যা বাড়ানো হবে
- সমস্ত হাসপাতালের যা যা প্রয়োজন তা স্বাস্থ্য দপ্তরে জানান
- সমস্ত হাসপাতালকে দৈনিক ভিত্তিতে জানাতে হবে তাঁদের কাছে কত শয্যা খালি আছে, কতজন ভর্তি হয়েছে
- আজ প্রবীণ আধিকারিকদের অঞ্চলভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে করোনা আতঙ্ক ঠেকাতে সমস্ত কাজের সমন্বয় রাখতে