স্বাস্থ্য সাথীতে নাম তোলার ধুম, সর্বোচ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
প্রথম দিন থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’-এ (Duare Sarkar) স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চাহিদা তুঙ্গে। রাজ্যজুড়েই সেই ছবি দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা। রাজ্যে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসাথী(Swasthya Sathi)প্রকল্পের উপভোক্তা এই জেলায়। ছ’লক্ষের বেশি মানুষ এই জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেই নাম তুলেছেন চার লক্ষের বেশি মানুষ। একটা রেকর্ড। বাকি প্রকল্পগুলিতেও ভালো সাড়া মিলেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পরিসংখ্যানের ধারে কাছে কোনও জেলা নেই। প্রথম দিন থেকেই এই জেলায় মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাতে দেখা যাচ্ছে, রোজই গড়ে ৫০ হাজার মানুষ এই প্রকল্পে নাম লেখাতে ভিড় করেছিলেন বিভিন্ন ক্যাম্পে। যেমন বুধবার নাম তুলেছেন ৫৮ হাজার ৯২৪ জন। অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে ১০০ দিনের জব কার্ড (Job Card) পাওয়ার চাহিদা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই জেলায়। পরিসংখ্যান বলছে, এই ক্যাম্পে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ এই কার্ড পেয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে খাদ্যসাথী (KHadya Sathi)। ৫৯ হাজারের বেশি মানুষকে এর আওতায় আনা হয়েছে।
পোর্টালের সমস্যার কারণে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে প্রথম দিকে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। সেটা মিটেছে, এখন অনেকেই এই পরিষেবা পেতে শুরু করেছেন। দুয়ারে সরকারে এই জেলায় বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৩ হাজারের বেশি মানুষ এই শংসাপত্র পেয়েছেন। পেনশনের ক্ষেত্রেও ৫৭০০ বেশি মানুষ সুবিধাটি পেয়েছেন এই ক্যাম্প থেকে। কৃষকবন্ধুর আওতায় এসেছে প্রায় ১০ হাজার কৃষক। ক্যাম্পটি এখনও চলছে। প্রশাসনের মতে, সব মিলিয়ে ৭-৮ লক্ষ মানুষ এই জেলায় কোনও-না-কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এই ক্যাম্পে এসে তাঁদের প্রয়োজনমতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রকল্পের পাশাপাশি এবার ব্লকভিত্তিক ভিড়ের পরিসংখ্যানে আসা যাক। বারুইপুর ও বাসন্তী ভিড়ের নিরিখে রয়েছে উপরের দিকে। দু’টি জায়গাতেই ৩২ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে কোনও-না-কোনও প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্তি করেছেন। ক্যানিং-১ ও ২ ব্লকেও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এসেছিলেন।