ফেলে রাখা জমির জন্য জরিমানা মকুব, বাড়ি তৈরির সময় বাড়ল রাজ্য সরকার
সরকারি জমি পাওয়া নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য সুখবর। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যাঁরা বাড়ি তৈরি করতে পারেননি, তাঁদের আবারও সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য। জরিমানা কিংবা জমি ফিরিয়ে নেওয়ার মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই নমনীয় অবস্থানে খুশি প্লট হোল্ডাররা। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। নতুন করে তাঁদের তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বাড়ি বানাতে হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষের বাসস্থানের সমস্যা মেটাতে কম দামে জমি দেয় রাজ্য সরকার। কসবা, কল্যাণী সহ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী কেএমডিএ (KMDA) এলাকায় এই রকম এলআইজি এবং ইডব্লুএস প্লট হোল্ডারদের সংখ্যা প্রায় ১,২০০। সরকারি নিয়ম বলছে, জমি পাওয়ার তিন বছরের মধ্যেই বাড়ি তৈরি করতে হবে। না হলে আইন অনুযায়ী সেই জমি ফিরিয়ে নিতে পারে কেএমডিএ। কিন্তু নানা কারণে বহু মানুষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাড়ি বানাতে পারেননি। কেন বছরের পর বছর জমি ফেলে রাখা হয়েছে, জবাব চেয়ে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল সরকারের তরফে। এমনকী, বিপুল অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হয়। ফলে বিপাকে পড়ে যান প্লট হোল্ডাররা। তাঁদের একটা বড় অংশই জরিমানা জমা করতে পারেননি। বরং তা মকুব করার জন্য আবেদন জানান অনেকে। তা খতিয়ে দেখে কঠোর মনোভাব ছেড়ে মানবিক সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী চান, যে কোনও মূল্যে ভূমিহীন নিম্ন আয়ের মানুষ এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মাথার উপর ছাদ হোক। তাই জমি ফিরিয়ে নেওয়া দূরে থাক, জরিমানাও তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএমডিএ। উপরন্তু, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাড়ি তৈরির সুযোগও দিচ্ছে সরকার। কেএমডিএ’র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সরকারে লক্ষ্যই হল নিম্ন আয়ের মানুষের বাসস্থান তৈরিতে জমির সমস্যা মেটানো। বিভিন্ন জটিলতায় হয়তো অনেকে বাড়ি করতে পারেননি। এবার তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। বাড়ি তৈরির জন্য আগামী আরও তিন বছর সময় দেওয়া হবে প্লট হোল্ডারদের। কারও জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। জরিমানা মকুবের আবেদনকারী ব্যক্তিদের সেকথা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে, কেএমডিএ সূত্রে খবর।