বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার জেরে এবার শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা হচ্ছে না। তবে প্রথা মেনে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) পৌষ উৎসব হবে। শনিবার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়েছে। করোনা সংক্রান্ত সবরকম বিধি মেনেই যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পৌষ উৎসব পালন করা হবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে।
এবার বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠার ১০০বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata banerjee) আমন্ত্রণ জানাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতীর প্রধান জগদীপ ধনকার ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালও শতবর্ষের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ৮পৌষ শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবসের শতবর্ষে চাঁদের হাট বসতে চলেছে। তবে, সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। আসন্ন পৌষ উৎসব ও বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পালন নিয়ে এদিন সেন্ট্রাল অফিসের কনফারেন্স হলে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, আশ্রমিক সঙ্ঘ, আলাপিনী মহিলা সমিতি, কর্মী পরিষদের সদস্য বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আলোচনায় ঠিক হয়েছে, পৌষ উৎসবের মূল অনুষ্ঠান অর্থাৎ ৭পৌষ ছাতিমতলায় দীক্ষা দিবস উদযাপন, ৮পৌষ শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন এবং ৯পৌষ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট উৎসব পালন করা হবে। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেনেই সবকিছু করা হবে। এবার বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার শততম বর্ষ হওয়ায় বিশেষভাবে স্মরণে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠা দিবসে শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের যে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় তা কাটছাঁট হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। মূলত ওইদিন প্রথাগতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছাতিমপাতা ও শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে করোনার কোপে সেই ঐতিহ্যে এবছর ছেদ পড়তে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের হয়ে শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের দুই অধ্যক্ষ প্রতীকী হিসেবে উপাচার্যের কাছ থেকে ছাতিম পাতা ও শংসাপত্র নেবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন বৈঠক শেষে শান্তিনিকিতেন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মেলা হচ্ছে না, সেই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। আজ সিলমোহর পড়ল। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে এবার এবার মেলা করা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে অসম্ভব ব্যাপার। জেলা পরিষদের কাছে অনুমতি পাওয়াও সম্ভব ছিল না। তাছাড়া যাদের নিয়ে মেলা সেই ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা না থাকায় মেলা হওয়া সম্ভব নয়। তবে মর্যাদার সঙ্গে পৌষ উৎসব হবে। যদিও এব্যাপারে জানতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোনে পাওয়া যায়নি।