করোনায় ঘরবন্দি? আজই দেখুন এই বাংলা ওয়েব সিরিজ গুলি
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সারা বিশ্বব্যাপী লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই করালগ্রাস থেকে ছাড় পায়নি ভারতও। দেশজুড়ে এখন নানা অফিসে চালু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে উপভোগ করা যেতে পারে বেশকিছু আকর্ষিত, উদ্দীপক ওয়েব সিরিজ।
সেইরকমই দশটি ওয়েব সিরিজের হদিস রইল আপনাদের জন্য
১০.কৃশানু কৃশানু – এই সিরিজটিকে আপাত দৃষ্টিতে কৃষানু দের বায়োপিক মনে হলেও এটিকে পুরোপুরি বায়োপিক বলা যায় না। এটি মূলত ভারতীয় ফুটবলের মারাদোনা কৃষানু দে, কলকাতা ময়দান এবং সামগ্রিকভাবে ফুটবল নিয়ে বাঙালির যে আবেগ, সেই সবকিছু সমন্বিত বহিঃপ্রকাশ। অত্যন্ত সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বানানো এই সিরিজে সেকালের ফুটবল ও একালের ফুটবল দুটি ই খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দেখতে পারবেন জি ৫ অ্যাপে।
৯. পাঁচফোড়ন – পাঁচটি পর্বের ভিন্ন স্বাদের কিছু প্রেমের গল্প নিয়ে কলকাতা ও বাংলাদেশ একত্রে তৈরি করেছে এই আকর্ষণীয় ওয়েব সিরিজটি। দ্বিতীয় সিজনেও বেশ মনগ্রাহী কয়েকটি গল্প আছে। অভিনয়, পরিচালনায় বাঘা বাঘা নাম। প্রতিটি গল্পই নিজ নিজ গুনে দর্শকদের মন কাড়ে। দেখুন হইচই অ্যাপে।
৮. রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ – বর্তমানে বাংলা ওয়েব সিরিজ-এর মধ্যে সাইকোলজিকাল থ্রিলারের শীর্ষে আছে রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ। আসলে ঠিক ওয়েব সিরিজ নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র হিসেবেই শুরু হয়েছিল ‘রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ’-এর কাজ।
স্বাধীন দুই চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালকের উদ্যোগে তৈরি হতে চলেছিল একটি থ্রিলার যা মুক্তি পেত প্রেক্ষাগৃহে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলে প্রযোজকেরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন। দেখুন হইচই অ্যাপে।
৭ কালী – জি ৫ অ্যাপের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ হল কালী। অভিনয় করেছেন পাওলি দাম, অনিন্দ্য ব্যানার্জী, রাহুল ব্যানার্জী, শান্তিলাল মুখার্জী ও অন্যান্যদের। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কোরক মুম্রু। এই ছবিতে দেখা যে যাবে কি করে এক অসহায় মা তার ছেলের প্রাণ রক্ষার খাতিরে একের পর এক দুঃসাহসিক লড়াইয়ে জড়িয়ে পরে।
৬. ধীমানের দিনকাল – সোশ্যাল মিডিয়া, এমনকি স্মার্টফোনেরও তীব্র বিরোধী ধীমান হলেন একজন মধ্যবিত্ত ও সাদামাটা মানুষ। ধীমানের চরিত্রে অভিনয় করেছে শাশ্বত চ্যাটার্জি এবং তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা মিত্র।
ইতিমধ্যে দেখা যায়, ধীমান নতুন একটি স্মার্টফোন কেনেন । যা তার জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। বলতে গেলে তার জীবনটা প্রায় ওলট পালট হয়ে যায়, তাই নিয়েই মজার একটি ওয়েব সিরিজ হলো ধীমানের দিনকাল। অল্ট বালাজি অ্যাপে দেখতে পারবেন।
৫. জাপানি টয় – সৌরভ চক্রবর্তীর পরিচালনায় নতুন ভাবনার একটি প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েব সিরিজ হলো ‘জাপানি টয়’। গল্পের কনটেন্ট পুরোপুরি অ্যাডাল্ট বেস্ হলেও ভাবনার মধ্যে যে অভিনবত্ব আছে তা মানতেই হবে। গল্পের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাজদীপ গুহ এবং ইশা সাহা।
বাইরে চাকরি থেকে এক প্রকার বিতাড়িত হয়ে, বাড়ি ফিরে সে মূলত কলকাতায় সেক্স টয় এর দোকান খোলার পরিকল্পনা করে। সেই দোকানকে ঘিরে নানা বিড়ম্বনা, অসফলতা, ধিক্কার এবং অসহযোগিতার সম্মুখীন হতে হয় তাকে ।তার পর ,বাধা কাটিয়ে কিভাবে এই ব্যবসার ভাবনা পরিণতি পেল তা নিয়েই গল্প। দেখুন হইচই অ্যাপে।
৪. আস্তে লেডিস – অভিজিৎ চৌধুরী পরিচালিত ‘আস্তে লেডিস’ ওয়েব সিরিজটি মূলত একটি কমেডি থ্রিলার বলা যেতে পারে। গল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হল উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এবং শেষ পর্যন্ত তিনটি মেয়ে কিভাবে তাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে।
গল্পে প্রথমেই দেখা যায় মেঘা, তানি ও লিমা একটি পার্লার চালায় এবং সেই পার্লার কে ঘিরে তাদের অনেক স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা। ইতিমধ্যে পার্লারটির মালিক তাদের অন্যায় ভাড়া চেয়ে ঘরটি খালি করার হুমকি দেন। শেষপর্যন্ত কিভাবে তারা তাদের উদ্দেশ্য সফল করবে তা নিয়েই গল্প। হইচই অ্যাপে দেখা যেতে পারে এই ওয়েব সিরিজটি।
৩. শরতে আজ – পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ছবির গল্প। একদল প্রবাসী বাঙালি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ থেকেই বিদেশে এসে নিজেদের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে দুর্গা পুজো করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ধর্ম সেখানে কিছুটা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে এক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জঙ্গিদের শিকারে তারা পরিণত হয়। এই পরিস্থিতিয়ে কীভাবে আত্মরক্ষা করবে তারা? পুজোটাও শেষমেশ ভালোভাবে করে উঠতে পারবে তো তারা? এই নিয়েই টানটান উত্তেজনায় এগিয়ে যাবে জি ৫ এর এই ওয়েব সিরিজটির গল্প।
২. ব্যোমকেশ – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্ট ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’ চরিত্রটি নিয়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েকটি ছবি হলেও, ওয়েবসেরিজ টি অনবদ্য। “ব্যোমকেশ” ওয়েব সিরিজ এর পরিচালক হলেন সায়ন্তন ঘোষাল, সৌমিক চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিক হালদার।
বর্তমানের একজন কিংবদন্তী অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনীত ‘ব্যোমকেশ’ চরিত্রটি দর্শকের মন কেড়েছে। এছাড়াও, তার বন্ধু অজিত এর ভূমিকায়, সুব্রত দত্ত একইভাবে অসাধারণ। এখনো পর্যন্ত মোট পাঁচটি সিরিজ বেরিয়েছে ব্যোমকেশের। পরবর্তীকালে আরো কিছু সিরিজ দর্শকেরা উপহার পাবে।
১ হ্যালো – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত, ‘হ্যালো’ ওয়েব সিরিজ টির মত সাসপেন্স থ্রিলার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে আর হয়নি বললেই চলে। গল্পের প্রথম থেকে একদম শেষ মুহূর্ত অবধি থাকে রহস্যে ঘেরা টানটান উত্তেজনা।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম নজরকাড়া নতুনত্ব ভাবনাগুলি সত্যিই প্রশংসনীয়। যা ,শুধুমাত্র কৈশোর বা যুব প্রজন্মকে নয়, প্রবীণদেরও দিতে পারে এই প্রবল সংকটময় পরিস্থিতিতে বিনোদনের ঝলক।