পৃথক সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ গুরুং-বিনয়ের
বর্তমানে দু’জন দু’ভাগে বিভক্ত। তবু বিজেপিকেই তীব্র আক্রমণ হানলেন দু’জনই। একজন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung), অপরজনও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং। রবিবার বীরপাড়ায় সভা করে গুরুং বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। আর এদিনই সুকনায় সভা করে বিনয় বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হওয়ায় পাহাড়ে ভোট চাইতে আসার অধিকার বিজেপি নেতাদের নেই। দু’টি সভাতেই জনতার ঢল উপচে পড়ে। বিধানসভা ভোটের মুখে এ নিয়ে জোর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ডুয়ার্সের বীরপাড়ার প্রগতি ময়দানের জনসভায় গুরুং বলেন, আমরা পঞ্চায়েতে, বিধানসভায় ও লোকসভায় বিজেপিকে (BJP) জেতালাম। কিন্তু আমাদের কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা বলেছিলেন, আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে তারা ও কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি।
গুরুং এদিন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি এমপি জন বারলাকেও আক্রমণ করেন। গুরুংয়ের দাবি, তাঁর জন্যই জন বারলা লোকসভা ভোটে টিকিট পেয়েছিলেন। গোর্খারাই সমতলে বারলাকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের পর বারলা গোর্খাদের কথা আর মনে রাখেননি।
গুরুং বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কথা দিয়ে কথা রাখেন। তাই তাঁর হাত ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। বিজেপি সাম্প্রদায়িক ও হিংসাত্মক দল। পাহাড় থেকে সমতলের আদিবাসী, রাভা, রাজবংশী সহ সমস্ত মানুষের কাছে আমাদের আবেদন বিজেপিকে আর একটিও ভোট নয়। আমরা এরপর লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে জয়গাঁতেও সভা করব।
অন্যদিকে, এদিন শিলিগুড়ির কাছে পাহাড়ের ঢাল সুকনায় জনসভা করেন বিনয় তামাং (Binay Tamang)। সভায় তিনি ছাড়াও জিটিএ’র চেয়ারম্যান অনীত থাপা সহ বিনয়ের অনুগামীরা উপস্থিত ছিলেন। বিনয় বলেন, পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগই নিতে পারেনি বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সরকার। ছ’মাসের মধ্যে পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করুক কেন্দ্রীয় সরকার। তা না হলে বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে ভোট চাইতে আসবেন না।
বিজেপির পাশাপাশি নাম না করে গুরুংকেউ আক্রমণ করেছেন বিনয়। বলেন, আমরা রাজধানী এক্সপ্রেস। তৃণমূল নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস। বিজেপি ‘ব্রহ্মপুত্র মেল’। অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে। আরএকটা আছে লোকাল এক্সপ্রেস। ২০০৭ সালের গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। ভুল পথে সেই আন্দোলন পরিচালিত করায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। একজন পাহাড় ছেড়ে চলে যান। উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়ে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় পাহাড়ের উন্নয়নে গতি এসেছে। আমি পাহাড়ে ফায়ার ব্রিগেড।