রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার-সমীক্ষা, প্রস্তুতি নিচ্ছে যুব তৃণমূল

December 14, 2020 | 2 min read

দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সুবিধা পেয়েছেন? বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করবে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব। শুধু সমীক্ষা করাই নয়, কার্যত স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতেও এই কর্মী বাহিনীকে নামানো হচ্ছে। যুব তৃণমূলের শীর্ষনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে রাজ্যজুড়ে এই কাজ শুরু হয়েছে। কর্মীরা কাজ করছেন কি না তার উপরেও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচে রোজ কত বাড়িতে যুব তৃণমূলের সমীক্ষক বা স্বেচ্ছাসেবকরা গেলেন তার হিসাব সেইদিনই দাখিল করতে হচ্ছে। এজন্য একটি ফর্মও নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক মহল বলছে, একদিকে রাজ্য প্রশাসন সর্বোতভাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি সফল করতে নেমে পড়েছে। নানাভাবে প্রচার করে আম জনতার কাছে তার প্রাপ্য সরকারি সুবিধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, এই প্রক্রিয়ায় যদি কোনও ফাঁকফোকর থাকে তবে তা ভরাট করার দায়িত্ব নিয়েছে যুব তৃণমূল। ঠিক এই কারণেই যুব বাহিনীকে ময়দানে নামানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে আরও একটি অনুচ্চারিত পরিকল্পনা এর পেছনে কাজ করছে—জনসংযোগ। যুব তৃণমূলকে (Trinamool Congress) সামনে রেখে জনসংযোগের কাজটিও নেতৃত্ব সেরে রাখতে চাইছেন। যা বিধানসভা ভোটে দলের কাজে দেবে বলেই নেতৃত্ব মনে করছে।

কীভাবে কাজ করবে এই সমীক্ষক বা স্বেচ্ছাসেবকরা? যুব নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনের ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি, জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটির পদাধিকারীদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের জন্য ৫০ থেকে ১৫০০ বাড়ির কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রোজ ওই সংখ্যক বাড়িতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবার দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচির সুবিধা পেতে, কী নথি লাগবে তা জানাতে হবে। কোনও ক্যাম্প হওয়ার আগে আগে সেই এলাকায় এই কাজ করতে হবে। কোথাও যদি কোনও পরিবারের ক্যাম্পে যাওয়ার সমস্যা থাকে তবে সংশ্লিষ্ট যুবনেতাকে সেই সমস্যাও মিটিয়ে দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুব পদাধিকারী বলেন, পরিবারের সদস্যরা অশক্ত কিংবা আর্থিক সমস্যায় আছেন। অতএব গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন না। এই সমস্যা মিটিয়েই তাঁকে ক্যাম্পে পৌঁছে দিতে হবে। একইভাবে ক্যাম্প হয়ে যাওয়া এলাকায় সমীক্ষা করে দেখতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা পরিষেবা পেলেন কি না।

কর্মীরা কাজ আদৌ করলেন কি না তা নজরে রাখতে একটি ছাপানো ফর্ম্যাট যুবনেতাদের দেওয়া হয়েছে। তাতে যে বাড়িতে তিনি গেলেন সেই বাড়ির সদস্যদের কী প্রয়োজন, সেই তথ্যের সঙ্গে ফোন নম্বরও চাওয়া হয়েছে। রোজকার কাজের খতিয়ান জমা দেওয়ার পরে সেখানে ফোন করে জেনে নেওয়া হচ্ছে যুব নেতৃত্ব গিয়েছিলেন কি না! এভাবেই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির জন্য প্রশাসনের সমান্তরালে যুব সংগঠনকে সক্রিয় করছে শাসক শিবির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Abhishek Bannerjee, #Duare Sarkar, #TMYC

আরো দেখুন