যানজট নিয়ন্ত্রণে কালিকাপুরে আন্ডারপাস শীঘ্রই
অবশেষে এলাকাবাসীর দাবিতে সিলমোহর। বাইপাসের উপর কালিকাপুর (Kalikapur) মোড়ে গড়ে উঠেছে ভূগর্ভস্থ পথ। পরিকল্পনা চূড়ান্ত। টেন্ডারও ডাকা হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সেটি খোলা হবে। কাজের বরাত পাবে সর্বনিম্ন দর দেওয়া ঠিকাদার সংস্থা। রাজ্যে ভোট-বিধি লাগু হওয়ার আগেই কাজ করতে তৎপর কেএমডিএ। আন্ডারপাস নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছ’মাস। ব্যায় বরাদ্দ ধরা হয়েছে চার কোটি ২৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৮ টাকা।
পূর্ব কলকাতার অন্যতম লাইফলাইন ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান (ই এম) বাইপাস (EM Bypass)। উল্টোডাঙা থেকে বারুইপুর পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা এটি। কিন্তু ইদানীং বাইপাসে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। সেই যানযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই কালিকাপুরে এই আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত।
বাইপাস যত দক্ষিণের দিকে এগিয়েছে ততই সে জড়িয়ে গিয়েছে আবাসনের আষ্টেপৃষ্ঠে। বৃদ্ধি পেয়েছে জনবসতিও। সেই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ি চলাচল। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কালিকাপুর মোড় বা অভিষিক্তা মোড়। সেখানে পথচলতি মানুষকে পারাপার করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিসকে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে যানবাহন। গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে মোড়ের এপারে এবং ওপারে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ক্রমেই বাড়ছে। স্থানীয়দের তরফে দাবি উঠছিল কালিকামোড়ে আন্ডারপাসের। তাঁদের সেই দাবি এবার পূরণ হতে চলেছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে বাইপাসের উপর যান-যন্ত্রণাও লাঘব হবে বলে মনে করছেন পুলিসকর্তারা।
কেএমডিএ সূত্রে খবর, ভূগর্ভস্থ পথটি হবে ৪০ মিটার দীর্ঘ ও ৩ মিটার চওড়া। কালিকাপুর মোড়ে একটি পরিত্যক্ত কালভার্ট রয়েছে, সেখানেই তৈরি হবে ওই আন্ডারপাস। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই কাজ শুরু হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কেএমডিএ’র (KMDA) চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে কালিকাপুর মোড় সবচেয়ে ব্যস্ত। প্রতিদিন সেখানে বহু মানুষ পারাপার করেন। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সেই কারণেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই মোড়ে আন্ডারপাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার পক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই কাজ শুরু করা হবে।’ শুধু কালিকাপুর নয়, বাইপাসের উপর আরও বেশ কয়েকটি মোড়ে উড়ালপুল এবং ভূগর্ভস্থ পথ তৈরি করা যায় কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে কেএমডিএ। এর জন্য একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা রাইটস।