আপনারা কুৎসা করে যান, আমরা কাজ করে যাবঃ তৃণমূল
কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কাজের তুলনামূলক খতিয়ান দিলেন তৃনমূলের বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের একই ধরনের প্রকল্প যেমন আয়ুষ্মান ভা্রত, স্বাস্থ্য সাথী বা পিএম কিষান যোজনা, কৃষক বন্ধু এই প্রকল্পগুলির তুলনা করে বিধায়ক দেখালেন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রের থেকে অনেকাংশেই এগিয়ে আছে রাজ্য।
স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) এবং আয়ুষ্মান ভারতের (Ayushman Bharat) তুলনা করে বিধায়ক বলেন, স্বাস্থ্য সাথীতে ১০০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দিচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারতে ৬০% টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি টাকা সেই রাজ্যের সরকারকে দিতে হয়। রাজ্যের ১০০ শতাংশ মানুষই এই বীমা করাতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বীমার আওতায় মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ এসেছেন। এই প্রকল্পে রাজ্যের ২০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। শুধু এবছরই খরচ হবে ৯২৫ কোটি টাকা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার নামে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে এরকম সুবিধা নেই।
এছাড়া দেশের কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, গোটা দেশে কৃষক আন্দোলন চলছে। পশ্চিমবঙ্গে কোন কৃষক আন্দোলন নেই। কারণ কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই রাজ্যের কৃষকদের সুরক্ষিত করেছেন। এই প্রকল্পে কৃষকরা একর প্রতি ৫০০০ টাকা পান। পিএম কিষান যোজনায় (P M Kisan Yojna) ১২১৪ টাকা একর প্রতি পাওয়া যাবে। পিএম কিষানে কৃষকের ২ হেক্টর জমি থাকতে হবে। কৃষক বন্ধুতে সেরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ পিএম কিষানে ছোট চাষীদের জন্যে কোন নিরাপত্তা নেই। এছাড়াও রাজ্য সরকার ১৮- ৬০ বছর বয়সী কোন কৃষক মারা গেলে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে এরকম কোন সুবিধে নেই।
দুয়ারে সরকার প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, মাত্র দশদিনেই ৬৫ লক্ষ মানুষ এই রাজ্যের মোট ৬৫২ টি ক্যাম্পে এসে বিভিন্ন প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। আগামীতে আরো মানুষ আসবেন বলেও সাংবাদিকদের এদিন জানান বিধায়ক।
এছাড়াও বিজেপির খুন এবং হিংসার রাজনীতিকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বিধায়ক বলেন, “আপনারা কুৎসা করে যান, আমরা কাজ করে যাব”।
এদিন বিজেপির বিরূদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ব্রাত্য বাবু বলেন, “আমাদের দলের সরকারের রিপোর্ট কার্ড অনেক নিয়ম কানুনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রকাশ করতে লেগেছে ১০ বছর। বিজেপি ৫ মিনিটে এসে ভুল ধরছে”।
এছাড়াও ব্রাত্যবাবু সাংবাদিকদের জানান, ১০০ দিনের কাজে, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানে, কাজের স্বচ্ছতার দিক দিয়ে বাংলা গোটা দেশে এক নম্বরে।