এবার অনলাইনেও মিলবে খাঁটি নলেন গুড়ের টিউব, উদ্যোগী রাজ্য

আসলে পর্ষদের লক্ষ্যই হল, গুণগতমানের নলেন গুড়কে আরও বেশি করে বাজারজাত করে তোলা।

December 16, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

টিউব বন্দি নলেন গুড় মিলবে এবার অনলাইনে। মাথার উপর কোভিডের খাঁড়া নিয়ে রাস্তায় বেরনোর ঝুঁকি নেই। ভিড় বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসে স্মার্টফোনে অর্ডার দিলেই কেল্লাফতে। টাটকা নলেন গুড় পৌঁছে যাবে বাড়ির দরজায়। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্যদ। অনলাইনের পাশাপাশি মিষ্টির দোকান কিংবা শপিং মলেও পাওয়া যাবে এই গুড়। আসলে পর্ষদের লক্ষ্যই হল, গুণগতমানের নলেন গুড়কে আরও বেশি করে বাজারজাত করে তোলা।   


শীতের মরশুম মানেই পিঠে-পার্বন। হরেক পিঠেপুলি মায় পায়েস তৈরিতে চাই যথার্থ গুড়। তার সন্ধানে ভোজনরসিকরা ঢুঁ মারেন দোকান-বাজারে। নতুন গুড়ের খোঁজ পেলে আর কথাই নেই। ঘরে তুলতে দেরি করেন না কেউই। বাঙালির এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে এবার ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী’র নীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে পর্যদ। বছর তিনেক আগে টিউববন্দি হয় বাংলার নলেন গুড়। বাজারে আসতেই তুঙ্গে উঠেছিল জনপ্রিয়তা। টুথ পেস্ট বা ক্রিমের মতো আকৃতির টিউব। তাতে ভর্তি গুড়। অন্তত তিন-চার মাস টিউবের গুড় ভালো থাকবেই থাকবে। দাবি প্রস্তুতকারতদের। 
ক্রেতারা হাতে গরম প্রমাণও পেয়েছেন এই দু’বছর। তার ফলে চাহিদও বেড়েছে। চলতি মরশুমে তাঁদের ঘরে পৌঁছে দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ। নদিয়ার মাজদিয়াতে তৈরি হচ্ছে এই নলেন গুড়ের টিউব। সোমবারই প্যাকেটবন্দি হয়ে পর্যদের কাছে এসেছে। এবার তা খাদির আউটলেট ও বিশ্ববাংলার স্টলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। প্রতিটি টিউবে রয়েছে ১০০-১৫০ মিলিগ্রাম গুড়। পাওয়া যেতে পারে শহরের একটি প্রসিদ্ধ শপিং মলে। পর্ষদ কর্তাদের সঙ্গে সে রকমই আলোচনা চলছে বিপণন সংস্থার কর্তৃপক্ষের। শহর ও শহরতলির যে সমস্ত জায়গায় ওই শপিং মল রয়েছে, সেখানে গুড় ভর্তি টিউব। পাশাপাশি শহরের একটি নামজাদা মিষ্টির দোকানের আউটলেটের মাধ্যমে এই নলেন গুড় গ্রাহককের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 


করোনা পরিস্থিতির কারণে নলেন গুড়ের টিউব যাতে সাধারণ মানুষজন বাড়িতে বসেই পেতে পারেন, সে ব্যাপারে অনলাইন ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজাচ্ছে পর্যদ। বাংলার খাদি ডট-ইন ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকরা অনলাইনের মাধ্যমে গুড় কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে পর্যদের সিইও মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শীতের সময় নলেন গুড়ের চাহিদা থাকে। এবার কোভিড মহামারীতে ঠিকমতো নলেন গুড়ের টিউব পাবেন কি না, তা নিয়ে ঘোর চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ! তাঁদের এই চিন্তা মুক্তির জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’  গুড়ের এই টিউবই বিক্রি হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen